Bongaon news: অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে বৃদ্ধার শরীরে ঘা, তবু ফিরে তাকায় না ছেলে-বৌমা, অতঃপর…

Bongaon: অসুস্থ হয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে বৃদ্ধার গায়ে ঘা হয়ে গিয়েছে। তবুও হুশ নেই ছেলের। পাশেই একতলা এক বাড়িতে নিজের ছেলে মেয়েকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছে ওই বৃদ্ধার ছেলে। কিন্তু পাশের ঘরেই অবহেলায় একা একা পড়ে রয়েছে মা।

Bongaon news: অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে বৃদ্ধার শরীরে ঘা, তবু ফিরে তাকায় না ছেলে-বৌমা, অতঃপর...
অভিযুক্ত ছেলে রামচন্দ্র নাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 9:58 PM

বনগাঁ : বৃদ্ধা মায়ের উপর অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৬৫ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে খেতে দেয় না ছেলে। এমনকী মায়ের অসুস্থতার খবরও নেয় না। অসুস্থ হয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে বৃদ্ধার গায়ে ঘা হয়ে গিয়েছে। তবুও হুশ নেই ছেলের। পাশেই একতলা এক বাড়িতে নিজের ছেলে মেয়েকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছে ওই বৃদ্ধার ছেলে। কিন্তু পাশের ঘরেই অবহেলায় একা একা পড়ে রয়েছে মা। এমনিই এক অমানবিক চিত্র ধরা পড়ল বনগাঁয়। বৃদ্ধার ওই ছেলের নামে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধার মেয়ে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও।

বনগাঁ থানার কুড়ির মাঠ এলাকায় থাকেন পূর্ণিমা নাথ নামের ওই বৃদ্ধা। দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। দুই মেয়ে স্বপ্না দেবনাথ ও রত্না দেবনাথ – উভয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বৃদ্ধার ছেলে রামচন্দ্র নাথ পাশেই একটি বাড়িতে আলাদা থাকে। পেশায় গাড়ি চালক। বৃদ্ধার মেয়ে স্বপ্না দেবনাথের অভিযোগ,সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে খেতে, পড়তে দিত না ছেলে রামচন্দ্র নাথ। অসুস্থ হলেও তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করত না। অসুস্থ মায়ের ঘরে আলোর ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি ছেলে। মায়ের উপর অমানবিক অত্যাচারের ঘটনায় দাদা ও বৌদির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধার মেয়ে।

জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে বৃদ্ধা পূর্ণিমা নাথ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যায়নি ছেলে। পরে স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধার আর এক মেয়ে রত্না দেবনাথেও একই অভিযোগ। তিনি বলেন,”মায়ের উপরে মানসিক অত্যাচার করে দাদা। সম্পত্তির জন্য মাকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হয়। মাকে খেতে দেয় না। মায়ের অসুস্থতার খবর নেয় না। মাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে আর খোঁজ নেয়নি মায়ের। যদিও বোনেদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামচন্দ্র নাথ। তাঁর বক্তব্য, এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। নিজের দায় এড়িয়ে বলেছেন, “আমি মাকে খেতে দিতে চেয়েছিলাম, মা নিজে খেতে চাননি।”

স্থানীয় কাউন্সিলর অমিতাভ দাস বলেন, “ওই বৃদ্ধার মেয়ে আমাকে দু’দিন আগে জানিয়েছে। আমরা বিষয়টা দেখছি। মাকে না খেতে দেওয়ার অভিযোগ গুরুতর। এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমরা বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করব।”

আরও পড়ুন : Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির ‘দাম’ ১ লাখ ২৫ হাজার, তদন্তের জাল গোটাতে ঘাটালের স্কুলে সিআইডি দল