Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির ‘দাম’ ১ লাখ ২৫ হাজার, তদন্তের জাল গোটাতে ঘাটালের স্কুলে সিআইডি দল

Paschim Medinipur news: অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি টিম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিআইডির এই টিম মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে ছিল বলে খবর।

Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির 'দাম' ১ লাখ ২৫ হাজার, তদন্তের জাল গোটাতে ঘাটালের স্কুলে সিআইডি দল
ঘাটালের স্কুলে সিআইডি প্রতিনিধি দল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 9:09 PM

ঘাটাল : টাকা ফেললেই মিলবে বদলি। দিতে হবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। কিছুদিন আগে শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত এমনই এক বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ করেছিল TV9 বাংলা। এবার সেই টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে সিআইডির টিম। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে যান সিআইডির চার সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। সূত্রের খবর,এদিন ঘাটালের মনসুকার ওই স্কুলে সিআইডির টিম পৌঁছে কথা বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পালের সঙ্গে। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গেও কথা বলেন ওই সিআইডি অফিসাররা। অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি টিম। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিআইডির এই টিম মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে ছিল বলে খবর।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে কিছুদিন আগে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং জমা পড়েছিল। ওই অডিয়ো রেকর্ডিং অনুযায়ী, ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলের এক সহকারী শিক্ষক গণেশ রজক তার বদলির জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে সহকারী শিক্ষক গণেশ রজকের ফোনে কথা হয়। সেখানে বদলির জন্য গণেশ রজকের থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামী। এমনই অভিযোগ ছিল ওই সহকারী শিক্ষকের। যদিও ওই অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সহকারী শিক্ষক গণেশ রজক। গত ২০ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। অভিযোগকারী শিক্ষকের আইনজীবী এজলাসে একটি অডিও রেকর্ডিং পেশ করেন। তা এজলাসে বসেই শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে কথোপকথনে বদলির জন্য টাকার প্রসঙ্গ শোনা যায়। তারপরই সিআইডি (ডিআইজি)-কে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি এবং ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব করেন।

আরও পড়ুন : Burj Khalifa: বড় চমক সোনারপুরে, দুর্গাপুজোর মতো ঈদেও নজর কাড়ছে বুর্জ খলিফা

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: মমতা রোজা রাখছেন বলেই কি মোদীর নৈশভোজে অনুপস্থিত, প্রশ্ন দিলীপের