Russian Didi: ৪০,০০০ টাকা ছাড়াও ‘মাসোহারা’ দিতে হত ক্লাবকে! তারপরও বন্ধ করে দিল ওরা, ভাইরাল ‘রাশিয়ান দিদি’র ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে

Russian Didi: পাপিয়ার স্বপ্ন ছিল, চায়ের দোকান একদিন হয়ে উঠবে ক্যাফে। তৈরি হবে ব্র্যান্ড। শুরুতেই সাফল্যের মুখও দেখেছিলেন তিনি। তাঁর দোকানে ভিড় জমত প্রচুর। ছড়িয়ে যাচ্ছিল তাঁর ক্রেতাদের সেলফি, ভিডিয়ো, লাইভ ভিডিয়ো। লাইন পড়তে থাকে ফুড ব্লগারদের।

Russian Didi: ৪০,০০০ টাকা ছাড়াও 'মাসোহারা' দিতে হত ক্লাবকে! তারপরও বন্ধ করে দিল ওরা, ভাইরাল 'রাশিয়ান দিদি'র ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে
Image Credit source: instagram
Follow Us:
| Updated on: Jan 04, 2025 | 12:48 PM

হাওড়া: মাস দুয়েক আগেও তিনি ইন্সটাগ্রামে ছেয়ে গিয়েছিল তাঁর ভিডিয়ো। অনেকেই তাঁর দোকানের চায়ের প্রশংসা করে ভিডিয়ো কনটেন্ট বানাচ্ছিলেন। ‘তে আমো’ নামে ওই চায়ের দোকানের মালকিনকে সবাই রাশিয়ান দিদি বলেই চেনেন। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। আর আজ দেনার দায়ে তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা পাপিয়া ঘোষাল ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে একটি চায়ের দোকান খুলেছিলেন। কলকাতার আশুতোষ কলেজের প্রাক্তনী পাপিয়া একসময় কর্পোরেট জব করেছেন। মডেলিংও করেছেন। তিনি তাঁর সেভিংস থেকে ৬০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ওই চায়ের দোকানের জন্য। স্থানীয় ক্লাবের সাহায্য নিয়ে খুলে ফেলেছিলেন দোকান।

পাপিয়ার স্বপ্ন ছিল, চায়ের দোকান একদিন হয়ে উঠবে ক্যাফে। তৈরি হবে ব্র্যান্ড। শুরুতেই সাফল্যের মুখও দেখেছিলেন তিনি। তাঁর দোকানে ভিড় জমত প্রচুর। ছড়িয়ে যাচ্ছিল তাঁর ক্রেতাদের সেলফি, ভিডিয়ো, লাইভ ভিডিয়ো। লাইন পড়তে থাকে ফুড ব্লগারদের।

রাশিয়ান দিদি-র দোকানে চায়ের দাম ছিল ৭ টাকা। কেউ কেউ নেগেটিভ কমেন্ট করলেও তাতে পাত্তা দিতেন না পাপিয়া। কিন্তু হঠাৎ একদিন একটা ফোন আসে তাঁর কাছে। তিনি জানতে পারেন, দোকান বন্ধ করার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ ফোন তোলেনি।

কিন্তু কে দিল সেই নোটিস? দোকানের শাটারে সাঁটানো কাগজে লেখা, গ্রামবাসীদের তরফ থেকে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হল অনির্দিষ্টকালের জন্য। এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই বলছেন, ওই দোকানের সামনে এত বেশি গাড়ি ও বাইকের লাইন পড়ত, যার জন্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হত।

তবে কেউ কেউ বলছেন, আসলে একজন মহিলা, আধুনিক পোশাক পরে এসে চা বিক্রি করবেন, এটা মানতে পারছিলেন না অনেকে। টাইট পোশাক, স্লিভলেস কুর্তা পরতেন পাপিয়া। তা নিয়েও ছিল অনেক আপত্তি। তবে কারণ যাই হোক, আপাতত ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পাপিয়া ঘোষাল। বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছেন তিনি, বিয়ে করেননি। নতুন করে কিছু শুরু করার মতো পুঁজিও নেই। পুলিশও বিশেষ সাহায্য করছে না তাঁকে। তবে পুলিশের দাবি, এফআইআর দায়ের করা হলেও থানায় যাননি ওই মহিলা। সংবাদমাধ্যমে পাপিয়া আরও জানিয়েছেন, এককালীন ৪০,০০০ টাকা তিনি দিয়েছিলেন ক্লাবকে। এছাড়াও মাসে মাসে ৩০০০ টাকা করে দিতে হত। শুধু হিংসা করেই তাঁর দোকানটা বন্ধ করে দেওয়া হল বলে মনে করেন তিনি।