BSF: ২০০টিরও বেশি জায়গায় ‘ব্ল্যাক স্পট’, বাংলাদেশের বিষোদগারের মাঝেই বাংলার সীমানায় বড় উদ্বেগ

BSF: দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টইয়ারের অন্তগর্ত ১৩৫টি জায়গা, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টইয়ার সীমান্তের অন্তর্গত ৭৫টি জায়গা, কোচবিহার সীমান্তের ৮-১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোকে 'ব্ল্যাক স্পট' হিসাবে দাবি করা হচ্ছে।

BSF: ২০০টিরও বেশি জায়গায় 'ব্ল্যাক স্পট', বাংলাদেশের বিষোদগারের মাঝেই বাংলার সীমানায় বড় উদ্বেগ
সীমান্তে ব্ল্যাক স্পট, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে BSF-এর Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2025 | 3:09 PM

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের গোপন পথ নিয়ে আরও উদ্বেগ। কোচবিহার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্তের অংশ খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট তৈরি করেছে বিএসএফ। সূত্রের খবর, প্রায় ২০০-র বেশি জায়গা ব্ল্যাক স্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টইয়ারের অন্তগর্ত ১৩৫টি জায়গা, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টইয়ার সীমান্তের অন্তর্গত ৭৫টি জায়গা, কোচবিহার সীমান্তের ৮-১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসাবে দাবি করা হচ্ছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সূত্রের খবর, দুর্গম এলাকা, নদীর চোরাস্রোত-সহ একাধিক কারণে ওই অংশগুলো নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। অতীতে গরু পাচারের জন্য ব্যবহার করা হত এই ব্ল্যাক স্পটগুলো। এখন সেই জায়গাগুলো অনুপ্রবেশকারীরা হাতিয়ার করছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সূত্রের খবর, এই জায়গাগুলোর একাংশতে ইতিমধ্যেই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।

কোচবিহার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২,২১৭ কিলোমিটার। যার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনস্থ স্থলসীমান্ত ৯১৩ কিলোমিটার, জলসীমান্ত ৩৬৪ কিলোমিটার। উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৯৩৯ কিলোমিটার, জলসীমান্ত নেই। কোচবিহার-গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের স্থলসীমান্ত ১১০ কিলোমিটার, জলসীমান্ত ৬৭ কিলোমিটার।

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ আইজি মনিন্দর সিং পাওয়ার বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের ক্ষেত্রে অরক্ষিত সীমান্তে কোনও অসুবিধা হয়নি। বিএসএফের বড় অংশ এখানে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রযুক্তিও অত্যন্ত উন্নত হয়েছে। তার সাহায্যে রিমোট এলাকাগুলোতেও ভালভাবে নজরদারি চালানো যাবে। ”

সূত্রের খবর, ব্ল্যাক স্পটগুলোর যে অংশগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তার, সেগুলিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই স্তরে স্তরে বৈঠকে বসেছেন বিএসেফের শীর্ষ আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য ভারতে যে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশই এই ব্ল্যাক স্পট এলাকাগুলো দিয়ে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।