Barrackpur Robbery: নিছক ডাকাতিতে বাধা পেয়েই গুলি নাকি পরিকল্পিত? বারাকপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলের ‘খুনে’ উঠে আসছে নয়া তত্ত্ব
Barrackpur Robbery: জানা যাচ্ছে, একটি বাড়ির নীচে দোকান ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। ভাড়া নিয়ে মালিকের সঙ্গে ব্যবসায়ীর বিবাদ ছিল। সেক্ষেত্রে বাড়ি মালিকের বয়ানেও উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বারাকপুর: বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও তাতে বাধা দেওয়ায় মালিকের ছেলের খুনের ঘটনায় উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। আদৌ ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় খুন নাকি তা পূর্ব পরিকল্পিত, পারিপার্শ্বিক একাধিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ধন্দে সাংসদ অর্জুন সিংও। প্রাথমিকভাবে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে একটি পুরনো বিবাদের তত্ত্বও। জানা যাচ্ছে, একটি বাড়ির নীচে দোকান ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। ভাড়া নিয়ে মালিকের সঙ্গে ব্যবসায়ীর বিবাদ ছিল। সেক্ষেত্রে বাড়ি মালিকের বয়ানেও উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, ২০০১ সালে ঘোষ পরিবার থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিতে সিংহ জুয়েলারি হাউজ় করার জন্য দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন নীলরতন সিংহ। এরপর ভাড়া বেড়ে হয় ৫০০ টাকা। ভাড়া নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে একটা সমস্যা তৈরি হয়। দু’বছর আগে সেই বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্তও। তৈরি হয় আইনি জটিলতা। এখনও পর্যন্ত এই দোকান নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। তবে বারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং জানান, তাঁর কাছেও বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করতেন ব্যবসায়ী নীলরতন। সাংসদ জানান, নীলরতন তাঁকে বলতেন, বাড়িমালিক তাঁকে মাঝে মধ্যেই উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। আগে বিভিন্ন রকম হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি সাংসদকে দেখার জন্য অনুরোধও করেন নীলরতন। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বর্তমান বাড়ির মালিক।
বাড়ির বর্তমান মালিক কুমারেশ দাস বলেন, “আমার বাবার সঙ্গে আসলে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তা কত বছরের জন্য তা সেই চুক্তিপত্রে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ ছিল না। এখন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা আইনি পথে চলছে। কিন্তু যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার কোনও সারবত্তা নেই।”
বুধবার সন্ধ্যায় বারাকপুরের একটি সোনার দোকানে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, ভরসন্ধ্যায় অস্ত্র হাতে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাদের বাধা দিতে গিয়ে খুন হন দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রি। এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করে, ডাকাতিতে বাধা পেয়েই খুন। কিন্তু তদন্ত যত এগোচ্ছে, তাতে অন্য আরও তত্ত্ব উঠে আসছে। নিছক ডাকাতি নাকি পরিকল্পিত খুন, তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে।