Basirhat Arrest: রাজস্থানে যাওয়ার নামে বের হন, বাবা মাকে ফোন করে জানান অপহৃত হয়েছেন, তারপরই ফাঁস ছেলের কীর্তি
Basirhat Arrest: মফিজুল অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মাটিয়া থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে মাটিয়া থানার পুলিশ তড়িঘড়ি হাওড়ার বাগনানে পৌঁছে ওই মফিজুলকে হাতেনাতে পাকড়াও করে।
বসিরহাট: অপহরণের নাটক করে বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল ছেলেরই বিরুদ্ধে। শ্রীঘরে গুণধর ছেলে সহ এক। বসিরহাটের মাটিয়া থানার বড় গোবরা গ্রামের ঘটনা। ১৭ই জুন বছর আঠাশের যুবক আব্দুল গফুর, রাজস্থানের উদয়পুরে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
১৮ই জুন হঠাৎই ফোন করে বাবা ও মায়ের কাছে ছেলে ৩০,০০০ হাজার টাকা চান। তিনি তাঁর বাবা মাকে জানান, একদল দুষ্কৃতী তাঁকে অপহরণ করেছে এবং ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাঁকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে বলেও জানান। এরপর ছেলে মাকে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ার পর মা ছেলের বিপদ জেনে ৩০ হাজার টাকা ওই অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও দেন। প্রথমবার টাকা পাঠানোর কিছুদিন পর ছেলে পুনরায় মাকে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলেন।
এরপর সন্দেহ হওয়ায় মা গিয়ে মাটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মাটিয়া থানার পুলিশ সেই ফোন নম্বর ও অ্যাকাউন্ট নম্বর খতিয়ে দেখে জানতে পারেন ওই অ্যাকাউন্টটি ছেলেটির বন্ধু মফিজুল মল্লিকের। তার বাড়ি হাওড়ার বাগনানে। এরপর মাটিয়া থানার পুলিশ স্থানীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মফিজুলের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আবেদন করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়।
মফিজুল অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মাটিয়া থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে মাটিয়া থানার পুলিশ তড়িঘড়ি হাওড়ার বাগনানে পৌঁছে ওই মফিজুলকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। পুলিশ মফিজুলকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, আব্দুল গফুর উদয়পুরেই রয়েছেন। পরে গফুর বন্ধুর গ্রেফতারের কথা জানতে পেরে বিমানে তড়িঘড়ি ফিরে গিয়ে মাটিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কেন তিনি কাজ করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে এহেন প্রতারণা করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ। ধৃত দুজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।