Basirhat Fire: ঘুমে আচ্ছন্ন গ্রামে ফের জ্বলে উঠল দুই তৃণমূলকর্মীর বাড়ি! সর্বহারার কান্নায় ঘুম ভাঙল দেবীপুরের
Basirhat: এবারের ঘটনাস্থল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগে অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
বসিরহাট: বীরভূম বগটুইয়ের জ্বলন্ত ছবি এখনও রাজ্যের মানুষের স্মৃতিপটে সুস্পট। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত এবং রাজনৈতিক বাক্যবাণের মাঝে এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। এরই মাঝে ফের রাতের অন্ধকারে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তবে এবারের ঘটনাস্থল উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগে অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। যাকে কেন্দ্র করে ফের উত্থান নতুন রাজনৈতিক তরজার। এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেবীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে একাধিক স্থানীয় আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে।
শনিবার ভোররাত। তখনও ঘুমে আচ্ছন্ন বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার উত্তর দেবীপুর। হঠাৎই দাউ-দাউ করে জ্বলে উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আরফান শেখ ও ফজের আলি গাজীর বাড়ি। অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন আইএসএফ কর্মী আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়ি দুটিতে।
এদিকে, দু’টি বাড়ির ভিতরেই তখনও দুই পরিবারের একাধিক সদস্য। আগুনের আভাস পেতেই শুরু হয় প্রাণে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা। যদিও ফের কোনও নারকীয় দুর্ঘটনা ঘটনার আগে কোনওমতে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন সদস্যরা। আগুন নেভানোর আগেই ভস্মিভূত হয়ে যায় দু’টি বাড়িরই অধিকাংশ সহ আসবাবপত্র ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘটনার পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয় স্থানীয় কয়েকজন আইএসএফ নেতৃত্বকে। তারাই দুষ্কৃতীর বেশে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
আক্রান্ত মহিলা তৃণমূলকর্মী জোহরা বিবি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। একাধিকবার আমি পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছি কিন্তু পাইনি। আসলে আমাদের ওপর আক্রোশ কারণ আমরা তৃণমূল করি। ওরা প্রত্যেকেই আইএসএফ এর কর্মী। নিত্যদিন আমাদের উপর অত্যাচার চালায়। থানায় আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রত্যেকের শাস্তি চাইছি।” প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মাটিয়া থানার পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাড়িতে আগুন লাগানো ও পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগকারীদের দাবি, অভিযুক্ত মনসুর মণ্ডল, আলা মণ্ডল, নাসির মণ্ডল, লাল্টু মণ্ডল প্রত্যেকে স্থানীয় বাসিন্দা এবং আইএসএফ এর সক্রিয় কর্মী। যদিও ঘটনার পর থেকে প্রত্যেকেই পলাতক।
আরও পড়ুন: Garia Oldman Suicide: আর্থিক অনটনের জেরে মানসিক অবসাদ, গড়িয়ার বহুতল থেকে ঝাঁপ বৃদ্ধের