Basirhat Murder: ঘরে বর, বাইরে প্রেমিক, বিছানায় অন্তঃসত্ত্বার শরীর, বধূর গর্ভস্থ সন্তানের বাবা কে? তা নিয়েই যত জটিলতা
Basirhat Murder: বুধবার ভোররাতে কেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকেই। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা।
বসিরহাট: স্বামী রয়েছে ঘরে। ফোনে অন্য যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর টানেই সংসার ছাড়েন। প্রেমিকের ঔরসজাত সন্তানকে জন্ম দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রেমিক বাদ সাধে। প্রতিবাদ করায় প্রেমিকাই খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়ুবালা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের কেয়া মণ্ডল (১৯)। অভিযুক্ত সুমন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে বছর চব্বিশের সুমন্ত মণ্ডলের সঙ্গে ভালোবাসার পর ঘর বাঁধতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় বছর উনিশের কেয়া। তারপর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তারপরে কেয়া হাড়োয়ায় নিজের বাপের বাড়ি খাড়ুবালা গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করা নিয়ে বচসা, গন্ডগোল হয়। এমনকি তাঁর প্রেমিকও গর্ভপাত করতে বলে বলে অভিযোগ। কিন্তু রাজি হননি কেয়া। তাতে অশান্তি চরমে ওঠে।
বুধবার ভোররাতে কেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকেই। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা। তিনি বলেন, “গর্ভের শিশুকে মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার সুমন্ত বলেছিল। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি।” পরিকল্পনা করে মারধর করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সবটাই তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বধূর পরিবারের লোকজন দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সুমন্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে বলে জানিয়েছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।