
ন্যাজাট: বিএলও-কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালিতে থেকে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী জামিরুল ইসলাম। ঘটনাকে কেন্দ্র সরগরম সন্দেশখালির রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হতেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতাদের দাবি এসআইআরের জেরে হারের ভয়ে বিএলও-দের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে কিছু গোলযোগ দেখা গিয়েছিল। তা আপলোড করা যাচ্ছিল না। যে কারণেই জামিরুল ইসলাম মোল্লা নামে ওই ব্যক্তিকে ডাকা হয় বলে জানা যাচ্ছে। তিনি এলাকায় তৃণমূল করেন বলেই জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, এরপরই আচমকা দীপক মাহাতো নামে ওই বিএলও-কে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দেন জামিরুল। হুমকিও দেন।
সামনে এসেছে একটি অডিয়ো ক্লিপ। যদিও ভাইরাল সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা টিভি৯ বাংলা যাচাই করেনি। সেখানেই শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তি রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলছেন, “তোর ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করব। ঠিক করে সংশোধন কর। নাহলে রাতের মধ্যে তোকে জবাই করব।” পুরো ঘটনা শেষ পর্যন্ত বিডিও-র কাছে খুলে বলেন বিএলও। তারপরই অ্যাকশন। অভিযোগ পেতেই ওই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিনই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
ঘটনায় বসিরহাট জেলা বিজেপির যুব সভাপতি পলাশ সরকার তোপ দাগছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, “অনেক জায়গা থেকেই খবর আসছে তৃণমূলের নেতারা বিএলও-দের উপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। দিকে দিকে বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের চরম পরিণতির জন্য দায়ী তৃণমূল। তাঁরা দলীয়ভাবে ও সরকারিবাবে এসআইআর-কে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন কারণ তাঁদের ভোট ব্যঙ্কে টান ধরেছে।” অন্যদিকে তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বুলবুল রহমান আবার বলছেন, “বিএলও-দের মধ্যে একাংশ এমনও আছেন যাঁরা তাঁদের কাজে অতি সক্রিয়।”