সন্দেশখালি: তাঁর আসার খবরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। ভয়ের রাত কাটিয়ে এখন অনেকটাই শান্ত সন্দেশখালি। বলছিলেন সেখানকার বাসিন্দারাই। তবে চাপা টেনশন যে রয়েছে তা এলাকায় গেলেই স্পষ্ট। ফেলে আসা দিন নিয়ে খুব একটা কথা বলতে কেউই নারাজ। সকলেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী এলে ঘরের কথা বলব। অবশেষে প্রায় এক বছর পর সন্দেশখালিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে শাহজাহান-কাণ্ডের পর সন্দেশখালির মানুষের দাবি ছিল একবার আসুন মুখ্যমন্ত্রী। অবস্থান স্পষ্ট করুন। যদিও সেই আবহে অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের সন্দেশখালি দেখা গেলেও মমতাকে দেখা যায়নি।
তবে বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি সন্দেশখালীতে আসবেন। এখন তিনি আসতেই তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, কথা দিয়ে কথা রাখছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সোমবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ হেলিপ্যাডে নামার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যে জায়গায় সভা তার ঠিক পাশেই তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। হেলপ্যাড থেকেই সোজা মঞ্চে উঠবেন মমতা। স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচির শিলান্যাস করার কথা রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের বুকে ঝড় তুলেছিল সন্দেশখালি ইস্যু। তৃণমূলের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছিল বিরোধীরা। যদিও দিনের শেষে বসিরহাট বিধানসভায় শেষ হাসি হেসেছিল তৃণমূলই। তবে সন্দেশখালিতে বিধানসভাভিত্তিক ফলে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এখন দেখার মমতার আসার পর হাওয়া কতটা বদলায়। ছাব্বিশেই বিধানসভা ভোট। তার আগে সন্দেশখালি থেকে মমতা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।