AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangaon: ঠাকুর বিসর্জনে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের!

Child Death: কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের পর স্থানীয়রা দেখেন অঙ্কিত সেখানে নেই।

Bangaon: ঠাকুর বিসর্জনে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের!
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 7:42 PM
Share

বনগাঁ: দশমীর বিসর্জনে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে মৃত্যু হল এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ (Bangaon) নয়া গোপালগঞ্জ এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম অঙ্কিত পোদ্দার। বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সে। জল থেকে উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বনগাঁ থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই স্কুল পড়ুয়ার বাড়ি নয়া গোপালগঞ্জ এলাকাতেই। তার বাবা তারক মজুমদার স্থানীয় এক নার্সিংহোমের কর্মী। তারই একমাত্র সন্তান অঙ্কিত। এদিন, অন্যদের সঙ্গে সেও প্রতিবেশী বসন্ত মজুমদারের বাড়ির পুজোর বিসর্জনে গিয়েছিল। মজুমদার বাড়ির ভেতরেরই সেই সময় একটি পুকুরে সম্পন্ন হচ্ছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। বাকিদের মত সেই ভিড়ে চলে যায় ওই কিশোর। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের পর স্থানীয়রা দেখেন অঙ্কিত সেখানে নেই। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির পরও তার খোঁজ না মেলায় পুকুরেও তল্লাশি চালানো শুরু করে স্থানীয়রা। তাতেই জলের মধ্যে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় অঙ্কিতকে উদ্ধার করা হয়।

এরপর তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নীকটবর্তী বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে (Bangaon Hospital)। কিন্তু সেখানে চিকিত্সকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বনগাঁ থানার পক্ষ থেকে মৃতদেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। যদিও আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছ বনগাঁ থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলকে।

উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে জলে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার অন্তর্গত নন্দনপুর গ্ৰামে। মৃত তিন শিশুর নাম সাদিকুল শেখ (৮), আশা খাতুন ( ৮) ও রহিদ শেখ ( ৬ ) । এদের মধ্যে দু’জন সহোদর। অন্য একজন কাকাতুতো ভাই।

জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়েছিল তিন খুদে। বাড়ির সামনেই এক ইটভাটার পাশে বেশ কিছুটা খোলা জায়গা। সেখানেই খেলত তারা। এদিন দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও তিন ভাইবোন বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু কোথাও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামার পর সেই ইটভাটার পাশে খালে দুই শিশুর দেহ ভাসতে দেখে অন্য শিশুরা। তারা দৌড়ে যায় খবর দিতে। বাড়ির লোক এসে দুই শিশুকে উদ্ধার করার পর বাকি এক জনকেও কিছুটা দূরে জলে ভাসতে দেখা যায়। তিন শিশুকে উদ্ধার করে নশিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাদের।