Matua: শান্তনুর মন্তব্যে গৃহযুদ্ধ ঠাকুরবাড়িতে, প্রতিবাদ করতে গিয়ে কিল-চড়-ঘুষি খেলেন মমতাবালার অনুগামী
Thakurbari: অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের এক অনুগামীকে মাটিতে ফেলে কিল চড় লাথি ঘুষি মারা হয়। তিনি শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে। শান্তনু ঠাকুর সোমবার মন্তব্য করেছিলেন, "৫০ লক্ষকে আটকাতে যদি ১ লক্ষ মতুয়া ভোট না দিতে পারে, মেনে নিতে হবে।"

বনগাঁ: উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের একটি মন্তব্য আর তার প্রতিবাদে মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের প্রতিবাদ মিছিল। দুপক্ষের মধ্যে অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। ঠাকুরবাড়িতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শান্তনুর বক্তব্য, মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন মমতাবালা ঠাকুর। কেন শান্তনু এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরা তাঁর কাছে জবাব চাইতে চান। তা নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায়।
অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের এক অনুগামীকে মাটিতে ফেলে কিল চড় লাথি ঘুষি মারা হয়। তিনি শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে। শান্তনু ঠাকুর সোমবার মন্তব্য করেছিলেন, “৫০ লক্ষকে আটকাতে যদি ১ লক্ষ মতুয়া ভোট না দিতে পারে, মেনে নিতে হবে।” এই মন্তব্যের পরই তীব্র বিতর্ক ছড়ায় মতুয়া সমাজের মধ্যে।” এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা আসলে শান্তনু ঠাকুরের কাছে এর জবাবটা চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পাল্টা শান্তনুরই হার্মাদ বাহিনী আমাদের ব্যাপক মারধর করে। যে শান্তনু আমাদের মতুয়াদের গায়ে হাত দিয়েছে, তার মাশুল গুনতে হবে।”
তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য, “শান্তনু এটাই তো চিরকাল করে এসেছে। মতুয়ারা তাঁর কাছে জবাব চাইতে গিয়েছিল। আজ তাঁদের কাছ থেকে পয়লা নিয়ে ফর্ম ফিল আপ করিয়েছে। এখন তাঁদের যদি নাম কেটে যায়। শান্তনু ঠাকুর যে মতুয়াদের গায়ে হাত দিয়েছে, তার ধিক্কার জানাই। তার জবাব আগামী দিনে আমরা মতুয়ারাই দেব।”
পাল্টা শান্তনুর অনুগামী বলেন, “মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী কয়েকজন দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে শান্তনু ঠাকুরের ওপর হামলা করে গিয়েছিল। আমরা তাদেরকে এখান থেকে বার করে দিয়েছি। এত সাহস কোথা থেকে পেল?”
শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমা ঠাকুর বলেন, “দূর থেকে দেখি, কিছু হার্মাদ অস্ত্র নিয়ে এসে এই বাড়ির সামনে জড়ো হচ্ছে। তারা হামলা করে। তারপর দেখলাম দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেল।”
প্রসঙ্গত এই বিষয়ের সূত্রপাত সোমবার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর গাড়াপোতাতে একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, শান্তনু বলেন, “এসআইআর-এ আমাদের কোনও সমস্যা নয়। ভারতবর্ষের সরকারকে সহযোগিতা করবার জন্য এসআইআর যদি মানতে হয়, তাহলে মানব না কেন!” আর সেই প্রসঙ্গেই বলেন, “৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলমান, পাকিস্তানি মুসলমানকে বাদ দিতে গিয়ে যদি আমার সম্প্রদায়ের এক লক্ষ মানুষকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হয় তাতে কী আসে যায়।” আর তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
