AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPM: খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ, ফ্যাসাদে এবার সিপিএম যুব নেতা

CPM: চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ সিপিএম যুব নেতার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

CPM: খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ, ফ্যাসাদে এবার সিপিএম যুব নেতা
সিপিএম নেতা সজল ভদ্র (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2023 | 5:19 PM
Share

বাগদা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ-সি হোক বা গ্রুপ-ডি, অযোগ্যদের চাকরি চলে গিয়েছে। আর চাকরি দেওয়ার নামে ভূরি-ভূরি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলগুলি লাগাতার কাঠগড়ায় তুলেছিল শাসকদলকে। কিন্তু এবার উলট পুরাণ। চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ সিপিএম যুব নেতার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

অভিযুক্ত যুব নেতার নাম সজল ভদ্র। তিনি সিপিএম-এর যুব সংগঠনের বাগদা লোকাল কমিটির নেতা। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তন্ময় বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। ওই যুবক জানিয়েছেন, খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মাস খানেক আগে তাঁর কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নেন সজল ৷ কয়েকদিন পর খাদ্য দফতরের একটি নিয়োগ পত্র পোস্টে তাঁর বাড়িতে আসে। তবে খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপর তন্ময় বিষয়টি সজল ভদ্রকে জানিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু বেশ কয়েকবার বলার পর সজল ভদ্র টাকা ফেরত দিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি৷ এরপর তন্ময় বাগদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ।

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সজল বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাকে অপহরণ করে টাকা আদায় করা হয়েছিল ৷ অভিযোগ জানিয়েছিলাম ৷ সেই কারণে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ৷ আমায় ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলা হবে। আমায় তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিকট আত্মীয়। আর আমি বামপন্থী দল করি। কেনই বা কেউ আমায় টাকা দেবে?”

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সজল ভদ্র অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। এমনকী গোপালনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি ৷ বলেছিল বাগদার পঞ্চায়েত সভাপতি গোপা রায় এই অপহরণের ঘটনায় মিডলম্যানের কাজ করেছিল। এ প্রসঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, “অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে ৷ চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে ৷ এলাকা থেকে প্রায় এক কোটি টাকা তুলেছে সজল। তন্ময় আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে ওই কাছ থেকেও লক্ষ টাকা নিয়েছিল নয় লক্ষ টাকা নিয়েছিল ৷”