AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panihati case: প্রোডাকশন হাউস খুলে গুণধর ছেলকে নিয়েই পর্নোগ্রাফির ব্যবসা ফেঁদেছিল ফুলটুসি, পানিহাটির তরুণী পালিয়ে আসতেই সব পর্দাফাঁস

Panihati case: সাগর দত্তর বেডে শুয়েই ওই তরুণী বলছেন, “গোটা শরীরে আমার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লোহা দিয়ে মেরেছে। গোপানাঙ্গেও মেরেছে। পাঁচ মাস ধরে এমনটা চলছিল।”

Panihati case: প্রোডাকশন হাউস খুলে গুণধর ছেলকে নিয়েই পর্নোগ্রাফির ব্যবসা ফেঁদেছিল ফুলটুসি, পানিহাটির তরুণী পালিয়ে আসতেই সব পর্দাফাঁস
প্রতীকী ছবি Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2025 | 10:22 AM
Share

খড়দহ ও ডোমজুড়: শনিবার বিকালে খড়দহ থানার পুলিশের সঙ্গে একযোগে হানা দিয়েছিল ডোমজুড় থানার পুলিশ। বাঁকড়ায় আরিয়ান খানের বাড়িতে গেলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল পুলিশকে। ছেলের সঙ্গেই খোঁজ পাওয়া যায়নি আরিয়ানের মা শ্বেতা খানেরও। এই আরিয়ানের বিরুদ্ধে পানিহাটির এক তরুণীকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ দেওয়ার নাম করে জোর করে বার ড্যান্সারের কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। না বলতেই চলে অকথ্য অত্যাচার। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ওই যুবতী। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রোডাকশন হাউসের নামে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা ছিল আরিয়ান ও তাঁর মায়ের। ইশারা নামক প্রডাকশন হাউস খুলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টর নাম করে মেয়েদের ডাকতো। টোপ দিত মোটা টাকার। তারপরই তাঁদের পর্নগ্রাফির ব্যবসায় নামানো হত।

পানিহাটির ওই তরুণীর মায়ের দাবি, তাঁদের মেয়েকে এমন মার মারা হয়েছে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না তিনি। মাথা থেকে, কোমর-পা সর্বত্রই লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছে। বুকে দেওয়া হয়েছে সিগারেটের ছ্যাঁকা। সাগর দত্তর বেডে শুয়েই ওই তরুণী বলছেন, “গোটা শরীরে আমার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লোহা দিয়ে মেরেছে। গোপানাঙ্গেও মেরেছে। পাঁচ মাস ধরে এমনটা চলছিল।” একদিন আগে ডোমজুড় থেকে কোনওমতে আরিয়ানের ডেরা থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হন ওই তরুণী। সূত্রের খবর, সিসিটিভি বন্ধ করে তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন আরিয়ানের ঠাকুমা। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় ভালই দাপট রয়েছে আরিয়ানের মা শ্বেতা খানের। যদিও তাঁকে ফুলটুসি বলেই সকলে চেনেন। বারবার সমাজবিরোধী কাজেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। গুণধর ছেলে আরিয়ানের নামেও ছিনতাই-সহ নানা অভিযোগে পুলিশের খাতায় জমা পড়েছে অভিযোগ। যদিও এখন তাঁদের ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। ডোমজুড়ের বাঁকড়ার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন দিন কয়েক ধরে আরিয়ানকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ যদিও শনিবার বিকালে আশপাশের কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু, মা-ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জোরকদমে চলছে তল্লাশি।