Gaighata: বরের গাড়ি চালাতেন, তাঁর সঙ্গে ২ মাসের প্রেমে পেয়েছেন স্পেশ্যাল সুখ! মেয়ে-সংসার ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে বসে সবটা বললেন পূজা, জানেন কীসের টান?
Gaighata: জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর থানার বেথারির বাসিন্দা পূজা শিলের ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকায়। তাঁর এক দু'বছরের মেয়েও রয়েছে। স্বামীর সংসার এবং মেয়েকে ছেড়ে দুই মাসের প্রেমের টানে সুটিয়ার মধ্য বারাসত এলাকায় প্রেমিক ত্রিদীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন।

গাইঘাটা: ছ’বছরের সংসার। দুই বছরে মেয়ে- সব ছেড়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন গৃহবধূ । যাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার সুটিয়ার মধ্য বারাসাত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর থানার বেথারির বাসিন্দা পূজা শিলের ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকায়। তাঁর এক দু’বছরের মেয়েও রয়েছে। স্বামীর সংসার এবং মেয়েকে ছেড়ে দুই মাসের প্রেমের টানে সুটিয়ার মধ্য বারাসত এলাকায় প্রেমিক ত্রিদীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে তিনি ধরনায় বসে আছেন। মধ্যরাত পর্যন্ত এক জায়গাতেই বসেছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। রাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ত্রিদিপের প্রতিবেশীর এক বাড়িতে। সকাল থেকে ফের ত্রিদীপের বাড়ির সামনে বসে থাকেন।
পূজা জানান, তাঁর স্বামীর গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। সেখানে স্বামীর গাড়ি চালাতেন ত্রিদীপ। সেই সূত্রে তাঁদের পরিচয়। দু’মাস ধরে তাঁদের প্রেম। গোপনে সিঁদুর পরিয়ে ত্রিদীপ তাঁকে বিয়েও করেছেন বলে দাবি পূজার। তিন দিন আগে বিষয়টি জানতে পারেন তাঁর স্বামী। যা নিয়ে পরিবারে অশান্তি হয়। অশান্তির জেরে লিখিতপড়িতভাবে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে এসেছেন তিনি। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন ত্রিদীপ। পূজার দাবি, ত্রিদীপ না আসা পর্যন্ত তিনি ওখান থেকে উঠবেন না।
ত্রিদীপের মা অপর্ণা ঘোষ বলেন, “দুদিন আগে আমরা জানতে পারি ওরা প্রেম করছে। ছেলে বাড়িতে নেই। আমরা ছেলেকে মেনে নেব না। ও যদি এই মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে চায় তাহলে করুক।” কিন্তু এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পূজা বলেন, “আমার আগের স্বামী-মেয়ে রয়েছে। তবে আমি ওকে ভালবেসে ২ মাস আগে বিয়ে করেছি। যেহেতু ও এখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি, সাবলম্বী নয়, তাই আমাকে নিয়ে রাখতে পারছে না। আমাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কোনও মন্দিরে নয়, কেউ ছিলও না সামনে। তাই প্রমাণ নেই। কেবল একটা ছবি রয়েছে। সেটাই সম্বল। ওর কাছেই আমার সুখ।”





