AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hasnabad Murder: স্বামী শ্রীঘরে, সেই সুযোগে অন্য যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, নৃত্যশিল্পীর পরিণতি ‘শিক্ষণীয়’, বলছেন পড়শিরা

Hasnabad Murder: "এমনটা হয়তো হওয়ারই ছিল। যে কোনও ছেলের সঙ্গে এইভাবে থাকতে শুরু করলে যা হয় আর কী, আগে পরে তো ভাবা উচিত ছিল। কী থেকে যে কী হয়ে যায়!"

Hasnabad Murder: স্বামী শ্রীঘরে, সেই সুযোগে অন্য যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, নৃত্যশিল্পীর পরিণতি 'শিক্ষণীয়', বলছেন পড়শিরা
মৃত নৃত্যশিল্পী (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2022 | 1:01 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: মাদক পাচারের অভিযোগে স্বামী জেলে। সেই সুযোগে অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে নৃত্যশিল্পীর। তাঁকেই স্বামী পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। ভাড়ার ঘর থেকেই সেই নৃত্যশিল্পীর দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ রয়েছে। ঘটনায় নৃত্যশিল্পীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বসিরহাটের ১৩নং ওয়ার্ডের পঞ্চাননতলার ঘটনা। মৃতের নাম তলসিমা বিবি (২৬)।

জানা যাচ্ছে, হাসনাবাদের নোয়াপাড়ায় মাতিন গাজির সঙ্গে দু’বছর আগে বিয়ে হয়। কয়েক মাস আগে তলসিমার স্বামীকে মাদক পাচার কাণ্ডে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর নাচের সূত্রেই মিঠুন বিশ্বাস নামে অন্য এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তসলিমার। এরপর তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। এলাকা ও কাজের জায়গাতেও তসলিমা ওই যুবককে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিতে থাকেন।

বিভিন্ন মঞ্চে নাচ করতেন তসলিমা। তসলিমার বাপের বাড়ি দেগঙ্গা থানার পোলতারআঁটি গ্রামে। গত শুক্রবার তসলিমা ও মিঠুন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বসিরহাটের পঞ্চাননতলায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতে যান। সেই রাতেই তসলিমার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। সেই সময় প্রেমিক মিঠুন বিশ্বাস পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ জানতে পারে মিঠুন হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় রয়েছে। বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং-এর নেতৃত্বে একটি টিম দিয়ে মিঠুনকে গ্রেফতার করে। ধৃত প্রেমিক মিঠুনকে রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলা চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তসলিমাকে। দেহের হাতে ও পিঠে সিগারেটের ছ‍্যাঁকার দাগ রয়েছে। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পড়শিরা বলছেন, “এমনটা হয়তো হওয়ারই ছিল। যে কোনও ছেলের সঙ্গে এইভাবে থাকতে শুরু করলে যা হয় আর কী, আগে পরে তো ভাবা উচিত ছিল। কী থেকে যে কী হয়ে যায়!”

আরও পড়ুন: Panihati Councillor Death: খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র পাঠিয়েছিল সে, পানিহাটি কাউন্সিলর খুনে পাটনা থেকে ধৃত ১

আরও পড়ুন:  North 24 Parganas Suicide Case: উঠোনে দাউ দাউ করে জ্বলছেন স্বামী! স্ত্রী বললেন, ‘নেশা লেগেছিল যে ওর, আর সামলাতাম কীভাবে!’