AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

North 24 Parganas Suicide Case: উঠোনে দাউ দাউ করে জ্বলছেন স্বামী! স্ত্রী বললেন, ‘নেশা লেগেছিল যে ওর, আর সামলাতাম কীভাবে!’

North 24 Parganas Suicide Case: বাড়ির লোক তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করছিলেন। কিন্তু সে বারণ শোনেননি আশানুর। দিন দিন নেশার করার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। বাড়িতে অশান্তি বাড়ছিল।

North 24 Parganas Suicide Case: উঠোনে দাউ দাউ করে জ্বলছেন স্বামী! স্ত্রী বললেন, 'নেশা লেগেছিল যে ওর, আর সামলাতাম কীভাবে!'
বনগাঁয় আত্নঘাতী যুবক (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2022 | 11:46 AM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ির উঠোনের সামনেই দাউ দাউ করে জ্বলছে জলজ্যান্ত ছেলেটা। মুখ দিয়ে টু শব্দ বার করছিলেন না, কিন্তু পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছিলেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। আর্তনাদ শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশীরা। হঠাৎ বাড়ির বড় ছেলের এ কী অবস্থা, আকস্মিকতার ঘোরই কাটিয়েই উঠতে পারছিলেন না পড়শিরা। যতক্ষণে কম্বল চাপা দিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয়, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেক। বাড়ির সামনেই গায়ে আগুন নিয়ে আত্মঘাতী এক যুবক। বনগাঁর গোবরাপুর কেউটিপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম আশানুর গোলদার (৪৫)। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? জানা যাচ্ছে, মোহন গোলদারের বড় ছেলে আশানুর কাজ সেরকমভাবে কিছু করতেন না। তবে ইদানীং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এমন ছেলেদের সঙ্গে ওঠাবসা করছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মাদকাসক্ত। বাড়ির লোক তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করছিলেন। কিন্তু সে বারণ শোনেননি আশানুর। দিন দিন নেশার করার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। বাড়িতে অশান্তি বাড়ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়িতে দেরি করে ঢুকেছিলেন আশানুর। বাড়িতে ফের অশান্তি শুরু হয়। অশান্তিতে বিরক্ত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পাশের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রীও। তাঁর দাবি, প্রতিবেশীদের মুখে তিনি শুনতে পান. বাড়ির সামনেই গায়ে আগুন দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি দৌড়ে এসে দেখেন, জ্বলন্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে উন্মত্ত ছোটাছুটি করছেন তাঁর স্বামী। তারপর দুম করে মাটিতে পড়ে যান ওই ব্যক্তি।

স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে গিয়ে কম্বল চাপা দেন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করল। বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন. “আমি কী বলব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ওকে অনেক বারণ করেছিলাম আমরা। বকাবকি করতাম। সবই ওর মাথার ওপর দিয়ে যেত। এমনটা করবে ভাবিওনি কখনও।”

আরও পড়ুন: Jhalda Councillor Death: সিবিআই-এর নজরে ঝালদা থানার জেনারেল ডায়েরির খাতা, আরও চাপে পুলিশ?