Baruni Mela: ‘আমার বোধদয় হয়েছে’, জেঠিমার কাছে ‘হেরে’ বারুণী মেলায় একসঙ্গে শান্তনু
Baruni Mela: গত বছর কার্যত এই সময়ে তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গন। শান্তনুর বিরুদ্ধে তালা ভেঙে মতুয়াদের প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবীর ঘরের ‘দখল’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শান্তনুর বিরুদ্ধে ‘শারীরিক নিগ্রহের’ অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

উত্তর ২৪ পরগনা: আইনি জয় হয়েছে জেঠিমা। আদালতে খারিজ হয়েছে শান্তনু ঠাকুরের আবেদন। রাত পোহালেই মতুয়াদের পুণ্যস্নান। কিন্তু গতবারের যে চিত্র ধরা পড়েছিল, এবার একেবারেই তার উলটপুরাণ। এখন ঠাকুরবাড়িতে যুযুধান পক্ষ ‘মিলেমিশে একাকার’। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বললেন, “আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই, যে আমার বোধদয় হয়েছে।”
হাইকোর্টের নির্দেশে ঠাকুরনগরের বারুণী মেলার দায়িত্ব তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের হাতেই। এক সময়ের যুযুধান শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুর হাইকোর্টে জয়ের পর এবার মিলেমিশে মেলার ডাক দিয়েছেন। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘ মিলেমিশে এক হচ্ছি, এটাই বড় কথা।’
প্রসঙ্গত, গত বছর কার্যত এই সময়ে তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গন। শান্তনুর বিরুদ্ধে তালা ভেঙে মতুয়াদের প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবীর ঘরের ‘দখল’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শান্তনুর বিরুদ্ধে ‘শারীরিক নিগ্রহের’ অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। একদিকে যখন মতুয়া ধর্ম মহামেলা চলছিল, তখন অন্যদিকে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে ঠাকুরবাড়িতে।
এক বছর পেরিয়ে বৃহস্পতিবার পুণ্যস্নান করবেন মতুয়ারা। এবার ঠাকুরবাড়ির যুযুধান পক্ষ মিলে মিশে একাকার। শান্তনু বললেন, “আমরা কেউ না থাকলেও মেলা হবে। এটা বাস্তব কথা। বাজে বার্তা যাওয়া উচিত নয়, এটাই বড় কথা। আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই, যে আমার বোধদয় হয়েছে, আমার চিত্তনিষ্ঠ হয়েছে, যে একসঙ্গে করা উচিত। তো আমি নিজের কাছে নিজেই কৃতজ্ঞ।”
পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “সকলে একটু শান্তির জন্যই এখানে আসতে। তারা স্নান করে ঠাকুরকে পুজো দেয়। সকলে একসঙ্গে করলে, সকলেই আনন্দিত হবে।”
২৬ এর নির্বাচনের আগে মতুয়া মেলা, একটা রাজনৈতিক তাৎপর্য তো থাকবেই? প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তিনি বললেন, “রাজনীতির অনেকে অনেক ফায়দা নিতে আসবে। তাতে কোনও কাজ হবে না। আমরা মতুয়াদেরই কথা ভাবি। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা সকলে এখানে আসেন, পুণ্যতা লাভের উদ্দেশ্যে। মতুয়ারা সবসময়েই উন্নয়নের পক্ষে। যে সরকার, তাদের দেখবে, তারাও সেই সরকারকেই দেখবে। ৭৫ বছর হয়ে গেল, আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে আসার পর আমরা দেখেছি, কোন সরকার আমাদের জন্য কতটা করেছে। চোখ খোলা রয়েছে যাদের, তারা দেখানো রাজনীতি বুঝবে।”
তবে পাশাপাশি উগ্রপন্থীদের হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি। সেজন্য বর্ডার সুরক্ষিত থাকুক, রাজ্য প্রশাসন সজাগ থাকুক।”





