5000 Thousand Sacked: জগদ্দলে রাতারাতি চাকরিহারা ৫ হাজার! বাড়ছে ক্ষোভ
Jagatdal News: কিন্তু হঠাৎ করেই এই জুট মিল বন্ধের কারণ কী? মালিক কর্তৃপক্ষ নোটিসে লিখেছে, 'পাট নেই, তাই কাজ বন্ধ।' তবে এই সব দাবি মানতে রাজি নন শ্রমিক পক্ষ। তাঁদের দাবি, 'পাট যখন ছিল না, কাজের দিন জানাতে পারত। রবিবার কেন নোটিস ঝুলিয়ে দিল। এই সব মালিক পক্ষ এবং ম্যানেজমেন্টের চক্রান্ত।'

উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দলে রাতারাতি চাকরিহারা ৫ হাজার শ্রমিক। কাজে এসে দেখছেন কারখানার সামনে ঝুলছে নোটিস। তাতে স্পষ্ট হরফে লেখা, কাঁচামাল নেই, তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল জুট মিল। এই নোটিস দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শ্রমিকরা। কী খাবেন, কী ভাবে বাঁচবেন? উৎসবের মরসুমে ‘চাকরি যাওয়া’ নিয়ে ক্ষোভ তাঁদের।
ইতিমধ্য়েই ওই জগদ্দলের ওই জেজেআই জুটমিলের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। বন্ধ কারখানার সামনে বিক্ষোভে বসেছে চাকরিহারা শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তাঁরা। একটাই দাবি, ফিরিয়ে দিতে চাকরি। এদিন এক বিক্ষোভরত শ্রমিক বলেন, ‘এখানে খুব একটা শ্রমিক নেই। তবে মোটামুটি ভাবে বলা যেতে পারে, ৫ হাজার শ্রমিক এই মিলের উপর নির্ভরশীল আজ সবাই দিশেহারা।’
কিন্তু হঠাৎ করেই এই জুট মিল বন্ধের কারণ কী? মালিক কর্তৃপক্ষ নোটিসে লিখেছে, ‘পাট নেই, তাই কাজ বন্ধ।’ তবে এই সব দাবি মানতে রাজি নন শ্রমিক পক্ষ। তাঁদের দাবি, ‘পাট যখন ছিল না, কাজের দিন জানাতে পারত। রবিবার কেন নোটিস ঝুলিয়ে দিল। এই সব মালিক পক্ষ এবং ম্যানেজমেন্টের চক্রান্ত।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই কাঁচা পাটের অভাবের নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে চলা কূটনৈতিক দ্বিমত। পাটের ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ উভয়েই পারস্পরিক ভাবে নির্ভরশীল। সম্প্রতি অশান্তির আবহে কাঁচা পাটের রফতানিতে রাশ টেনেছে বাংলাদেশ। যার জেরে ভারতের চটশিল্পে গভীর সঙ্কটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার এই অভিযোগ তুলেই কেন্দ্রের কাছে অবিলম্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে পাটের বীজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বসানোর আর্জি জানিয়েছেন চটকল মালিকরা।
কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে পাঠানো চিঠিতে ইন্ডিয়ান জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে কাঁচামালের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলত দেশীয় বাজারে কাঁটা পাটের দাম হুহু করে বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।’
