SIR Norms For Matua: মমতাবালার সঙ্গে অভিষেকের কথার পর ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল, রাজনীতির ভোটব্যাঙ্ক মতুয়ারা?
SIR Norms For Matua: নাগরিকত্বের দাবিতে নাছোড় মতুয়ারা। আন্দোলন জারি। ২৮ ডিসেম্বর ধর্মতলায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মতুয়ারা। ঠাকুরবাড়িতে এখন তপ্ত রাজনীতি। একদিকে চলছে সুব্রত ঠাকুরের নেতৃত্বে CAA ক্যাম্প। অন্যদিকে, আবার নাটমন্দিরেও চলছে আরেকটি CAA ক্যাম্প, নেতৃত্বে শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে, ঠাকুরবাড়ির আরেকপ্রান্তে অনশনে বসেছেন মমতাবালা ঠাকুর।

উত্তর ২৪ পরগনা: ছাব্বিশের আগে এসআইআর আবহে এবার মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। সরকার থেকে বিরোধী-সব পক্ষরই একটাই বার্তা, ‘আমি তোমাদেরই লোক’। এর আগে মতুয়াদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। এবার ময়দানে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবারই সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার অনশন মঞ্চে গেলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শশী পাঁজা, তন্ময় ঘোষ।
নাগরিকত্বের দাবিতে নাছোড় মতুয়ারা। আন্দোলন জারি। ২৮ ডিসেম্বর ধর্মতলায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মতুয়ারা। ঠাকুরবাড়িতে এখন তপ্ত রাজনীতি। একদিকে চলছে সুব্রত ঠাকুরের নেতৃত্বে CAA ক্যাম্প। অন্যদিকে, আবার নাটমন্দিরেও চলছে আরেকটি CAA ক্যাম্প, নেতৃত্বে শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে, ঠাকুরবাড়ির আরেকপ্রান্তে অনশনে বসেছেন মমতাবালা ঠাকুর।
আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, “আজ তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত হয়েছি, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগটা পেয়েছি। তাতে সমাজের প্রতি তো আমরা দায়বদ্ধ।”
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওরা এখানকার মানুষ, এখানকার নাগরিক, এখানকার ভোটার, এটার স্বীকৃতির জন্য মানুষকে এত আন্দোলন করতে হবে, অনশন করতে হবে, এটা ঠিক নয়! এটা দিল্লি, বিজেপি যা করছে, ঘোরতর অন্যায় করছে। যদিও ওদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একটা সময়ে দাগিয়ে দিয়েছিলেন, যার ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। কে কাকে ভোট দেবে, এটা আলাদা বিষয়, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল তো মতুয়াদের ব্যবহার করেই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন বুঝতে পেরেছেন, মতুয়াদের জন্য কিছু করেনি।” তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্ট আধার কার্ডের স্বীকৃতি দিতে বলেছে। বৈধ যারা, তাদের জন্য ভোটাধিকার না কাটা যায়।”
