AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sundarban: কৃষি উন্নয়ন সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি, বিপাকে সুন্দরবনের কয়েক হাজার জন-সাধারণ

Sundarban: যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভূরি-ভূরি। উপভোক্তাদের অভিযোগ, ম্যানেজার, সম্পাদক বা সভাপতি কেউই টাকার হিসাব দেন না। প্রতি মাসে যে টাকা গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেখানে জমা করতেন, সেই টাকা পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

Sundarban: কৃষি উন্নয়ন সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি, বিপাকে সুন্দরবনের কয়েক হাজার জন-সাধারণ
সুন্দরবনে সমবায় দুর্নীতির অভিযোগImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 9:06 AM
Share

বসিরহাট: কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেও বেহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত। বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের হাড়োয়া থানার বাছড়া মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর চণ্ডি বাড়ি কৃষি উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞা ও সম্পাদক মুকুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ওই কৃষি সমবায়ের উপভোক্তাদের। তাঁদের দাবি দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে ধরে সমবায়টি বন্ধ হয়ে রয়েছে। টাকা চুরির পরও অভিযুক্ত কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।

যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভূরি-ভূরি। উপভোক্তাদের অভিযোগ, ম্যানেজার, সম্পাদক বা সভাপতি কেউই টাকার হিসাব দেন না। প্রতি মাসে যে টাকা গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেখানে জমা করতেন, সেই টাকা পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী মৃত ব্যক্তির নামেও লোন করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। চলতি বছরে জুন মাসের ৭ তারিখে সিআইডি-র হাতে গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত যজ্ঞেশ্বর। যদিও ২১ দিন জেল থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উপভোক্তদের অভিযোগ, বেরিয়ে এসেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ওই ম্যানেজার। কখনও গ্রামবাসীদের ভয় দেখানো আবার উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে মিথ‍্যা মামলা করা একাধিক অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞা ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, “বেশ কিছু উপভোক্তা লোনের টাকা শোধ করেননি। উল্টেই তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।”

এ দিকে, বিগত পাঁচ মাস ধরে সমবায়টি বন্ধ থাকার ফলে বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ওই সমবায়ের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ক্যাশিয়ার ও পিয়ন গত ১৪ মাস মাইনে পান না। তবে ম্যানেজারের দাবি, “যে সমস্ত স্টাফরা ওখানে চাকরি করেন। তাদের সেই চাকরিটা চুক্তিভিত্তিক এবং প্রতিদিন এই সমবায়টি খোলা হয়।”

কিন্তু যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞা যাই বলুক বাস্তবের চিত্রটা একেবারেই অন্য। টিভি ৯ বাংলা সেখানে গিয়ে দেখতে পায় সমবায়টিতে তালা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী বলেছেন, যজ্ঞেশ্বর সক্রিয় তৃণমূল সমর্থক। একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর ছবিও রয়েছে। আর বিষয়টিকে কটাক্ষ করে আসরে নেমে পড়েছে সিপিএম ও বিজেপি। তারা বলছে, সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলীরাই একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন।

যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি কৌশিক দত্ত। তিনি বলেন, “যজ্ঞেশ্বর ভুঁইঞা তৃণমূলের সক্রিয় কেউ নন। ওখানে সমবায়ের যদি কোনও দুর্নীতি হয় আমরা চাইবো দোষীর অবশ্যই শাস্তি হোক।”