Partha Bhowmick: ‘আমি ক্ষমা চাইছি… একটা সুযোগ দিন…’, ভরা সভায় হঠাৎ করে হাতজোড় করলেন পার্থ, কী হল?

Partha Bhowmick: ২০২১ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। যদিও, দলবদলে তিনি তৃণমূলের যোগদান করেন। এরপর ২০২৪-এর বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করে বিশ্বজিৎকে।তবে বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হতে হয় তাঁকে।

Partha Bhowmick: 'আমি ক্ষমা চাইছি... একটা সুযোগ দিন...', ভরা সভায় হঠাৎ করে হাতজোড় করলেন পার্থ, কী হল?
পার্থ ভৌমিক, রাজ্যের মন্ত্রীImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2024 | 8:33 PM

বাগদা: লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর বাগদা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। আর শেষ লগ্নের প্রচার ছিল সোমবার। সেই প্রচারে এ দিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন তিনি। বললেন, “আমার দলের কেউ যদি কোনও অন্যায় করে থাকে আমি হাতজোড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সঙ্গী হিসাবে ক্ষমা চাইছি। পার্থ ভৌমিক অন্যায় করলে তার শাস্তি দয়া করে অন্য কাউকে দেবে না।”

২০২১ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। যদিও, দলবদলে তিনি তৃণমূলের যোগদান করেন। এরপর ২০২৪-এর বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করে বিশ্বজিৎকে। তবে বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হতে হয় তাঁকে। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত। তবে কি জমি হারানোর ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? পার্থর এ দিনের প্রচারের ধরন দেখে অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গুলিয়াতে প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের সমর্থনে বুথ বৈঠক করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে পার্থ ভৌমিক বলেন,”আমি বাগদার মানুষের কাছে বলতে চাই
২০১৬ সালে আমাদের হারিয়েছেন,২০১৯ সালে হারিয়েছেন,২০২১ সালে হারিয়েছেন,২০২৪ সালে হারিয়েছেন।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি যখন আসছিলাম কেউ একজন বলছিল দাদা রাস্তাটা করে দিন। আমি বললাম দায়িত্ব তো আপনারা আমায় দেননি রাস্তা করে দেওয়ার। দিয়েছেন বিজেপিকে। তাহলে দায়িত্ব দেবেন বিজেপিকে আর রাস্তা করে দিতে বলবেন আমায়? আমায় দিয়ে দেখুন করতে পারি কি না।”

পার্থ বলেন, “মধুপর্না ঠাকুর বাগদার এবাড়ি ওবাড়ি দৌড়ে বেড়াবে। দয়া করে একবার কাজের সুযোগ দিন। আমি হাতজোড় করে বলছি। যদি ও কাজ করতে না পারে দুবছর পর আবার বিধানসভা নির্বাচন। তখন ফেলে দেবেন। কিন্তু একটা বার সুযোগ পাব না?”