Naihati Mysterious Death: ‘ওরা আমাকে সাত-আট জন মিলে…’, গাড়ির শোরুমেই যুবকের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, চরম অবস্থায় উদ্ধার ক্রেতা

Naihati Mysterious Death: "জলজ্যান্ত ছেলেটা শোরুমে গেল, আর হঠ্ করে আত্মহত্যা করল?  এমনটা হয় নাকি! ওরাই মেরে ফেলেছে ছেলেটাকে।"

Naihati Mysterious Death: 'ওরা আমাকে সাত-আট জন মিলে...', গাড়ির শোরুমেই যুবকের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, চরম অবস্থায় উদ্ধার ক্রেতা
গাড়ির শোরুমে রহস্যমৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2022 | 11:02 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: গাড়ি কিনেছিলেন লোন নিয়ে। দোকানে যে চেক দিয়েছিলেন সেটা কোনওভাবে বাউন্স হয়। ফলে গাড়ির মালিককে ডেকে পাঠান শোরুম কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেখাও করতে যান বছর পঁয়ত্রিশের যুবক। কিন্তু সেখানেই ‘নৃসংসতা’র শিকার তিনি। বাড়ির লোক যতক্ষণে খবর পেয়ে শোরুমে পৌঁছন, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেক। গাড়ির শোরুমে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে নৈহাটিতে। পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। নিহত যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন (৩৫)। ঘটনার আগে ওই যুবক তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। সেই কল রেকর্ডিং TV9 বাংলার হাতে এসেছে। তাতেও প্রকাশ্যে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, জানিয়েছিলেন যুবক। এই কল রেকর্ডিংয়ের সত্যতা অবশ্য যাচাই করে নি TV9 বাংলা। এই ঘটনায় শোরুম কর্তৃপক্ষের তরফেও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সাদ্দাম বারাসতের ছোট জাগুলিয়ার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এস কে বাজাজের শোরুম নৈহাটি থেকে একটি গাড়ি দিন কুড়ি আগে কিনেছিলেন তিনি। লোনের মাধ্যমে গাড়িটি কেনেন তিনি। লোনের কিস্তি বাবদ সাদ্দাম ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দেন কোম্পানিকে। কিন্তু সেই চেকটি বাউন্স হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার সাদ্দামকে ডেকে পাঠায় নৈহাটি শোরুম।

মঙ্গলবার বিকালে সেখানে যান সাদ্দাম হোসেন। পরিবারের দাবি, সাদ্দাম শোরুম থেকেই তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। বিস্ফোরক অভিযোগ, সাদ্দাম ফোনে জানিয়েছিলেন শোরুমে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল বলেও জানান। এমনকি তিনি বলেছিলেন, বাড়ি থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব টাকা নিয়ে আসতে, যাতে টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে ওই শোরুমে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তখন শোরুমে লোকজন তাঁদের সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলেননি। সাদ্দাম কোথায়, সেই উত্তরও ঠিকভাবে দিতে পারেননি তাঁরা। এরপর শোরুমের একটি ঘরে সাদ্দামের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান শোরুমের কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আত্মাঘাতী হয়েছেন সাদ্দাম। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সাদ্দামকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৈহাটি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পরিবারের সদস্যরা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবুও এক আত্মীয় বললেন, “জলজ্যান্ত ছেলেটা শোরুমে গেল, আর হঠ্ করে আত্মহত্যা করল?  এমনটা হয় নাকি! ওরাই মেরে ফেলেছে ছেলেটাকে।” শোরুম কর্তৃপক্ষের এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যা য়নি।

পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা কয়েকটি কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছেন। তাতেই শোনা গিয়েছে সাদ্দাম ফোন করে তাঁর এক বন্ধুকে বলছেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা পাঠা। ওরা আমাকে এমন মারছে ভাই, মেরে দেবে। আর সহ্য করতে পারছি না। সাত-আট জন মিলে মারছে। টাকাটা ম্যানেজ করে পাঠা।” এই কল রেকর্ডিংয়ের সত্যতা অবশ্য যাচাই করে নি TV9 বাংলা। তবে পরিবার এই সূত্র ধরেই অভিযোগ দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন: Pingla Crime Against Woman: আড়ালে-আবডালে নয়, খোলা মাঠেই উন্মুক্ত শরীরে পাড়ার বউ! দেখেই চোখ নীচু পড়শিদের