Barasat: দাউদাউ করে জ্বলছে কারখানা! খিদিরপুরের পর লেলিহান আগুন জাপটে ধরল শহরতলি
Barasat: সন্ধ্যা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। মিনিটের মধ্যে সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে কারখানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জাপটে ধরে চারপাশ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ ছুটে যায় দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। রাত অবধি পাওয়া আপডেট অনুযায়ী আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে। ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে সেই এলাকায়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এখনও সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে দমকলের মোট ১৮টি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই অকুস্থল ঘুরে গিয়েছেন ডিজি দমকল। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, আগুন নেভাতে আরও বাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে। যে এলাকায় আগুন লেগেছে, সেখানে রঙের কারখানা ছাড়াও আরও কয়েকটি ভিন্ন পণ্যের গোডাউন রয়েছে বলে খবর। রয়েছে একটি এসির গোডাউনও।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘এত বড় আগুন লেগে যাবে কেউ বুঝতে পারেনি। এখানে এসি, রঙ অনেক কিছুর গোডাউন ছিল। কিন্তু সেই ভাবে দমকল পাঠানো হয়নি।’ খিদিরেপুরের বাজারে আগুন লাগার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দমকলের বিরুদ্ধে দেরি করে আসার অভিযোগ তুলেছিলেন। বারাসতের কারখানায় আগুনের ঘটনাতেও বাদ পড়ল না সেই একই অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, ‘একে দমকল দেরি করে আসে। তার মধ্য়ে প্রথমে একটা ইঞ্জিন পাঠিয়েছিল। তাতেই আগুন বেড়ে যায়।’
ঠিক কীভাবে আগুন লাগে, সেই নিয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডে টাকি রোডে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন তিনি বলেন, ‘দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মানুষকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। ইতিমধ্যেই ভিড় সরিয়ে বাহিনীর গাড়ি ঢোকানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এরকম ভয়বহতা, তাতে সময় তো লাগবেই।’

