উত্তর ২৪ পরগনা: মধ্যরাতে বিজেপি (Bengal BJP) কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি (Bombing)। অভিযোগের তির তৃণমূলের (TMC) দিকে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের (Ashoknagar) সেনডাঙা বাজার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, বিজেপি করাতেই বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরে সেনডাঙ্গা বাজার এলাকায় রবিবার মাঝরাতে বোমাবাজি হয়। এলাকারই দুই বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী, পরপর তিনটি বোমা ছোড়া হয়। তার মধ্যে দুটি বোমা ফাটে।
তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, রাতে তাঁরা খাওয়ার পর শুতে চলে যান। আচমকাই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। প্রথমে তাঁরা বুঝতেই পারেননি কী হয়েছে। হকচকিয়ে যান তাঁরা। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে আবারও বোমা পড়ে বাড়িতে। বাড়ির দেওয়ালে বোমার মারার ছাপ স্পষ্ট রয়েছে।
পাশেই আরেক বাড়িতেও বোমাবাজি হয়। ওই ব্যক্তিও এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। রাতেই থানায় খবর দেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকা থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
যেটি বোমাটি ছোড়া হয়েছিল, অথচ ফাটেনি, সেটিই পুলিশ উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে। আক্রান্ত বিজেপি পরিবারের বক্তব্য, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যের বক্তব্য, “প্রথমে আমার পাশের বাড়িতে বোমা ফেটেছিল। আওয়াজটা আমরাও শুনতে পাই। ওটা আমার দেওরের বাড়ি। ও ফোন করে আমাদের বলল। আমি জানলার সামনেটায় যাচ্ছিলাম। তখনই আরেকটা বোমা পড়ল।”
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, “রাত তখন দুটো পড়ে। একটা আওয়াজ পেয়েছিলাম। আমার ভাই ফোন করে বলল দাদা বোমা পড়েছে। ফোনটা পেয়ে যখন ঘর থেকে বেরোচ্ছিলাম, তখন দেখি আমার বাড়িতে বোমা পড়ছে। বাবা-আমরা তখন ঘর বেরোই। চিত্কার চেঁচামেচি করায় ওরা ওদিকে চলে যায়। ওখানে মায়ের ঘরের পিছন দিকে ভাঙচুর চালায়। আসবাবপত্র, টিনের চাল ভাঙচুর চালায়।”
এই ঘটনার কাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ? প্রশ্নের উত্তরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, “আমার তো এলাকায় কোনও শত্রুতা নেই। আমি কারোর সঙ্গে কোনও ঝামেলায় যাই না। যদি আমার কোনও অপরাধ হয়ে থাকে, সেটা হল আমি বিজেপি করি। তার জন্য এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী এমন করছে। কয়েকদিন আগেও এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে।”
যদিও বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের বারাসত জেলা সভাপতি অশনী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এলাকায় বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওখানে কেউ বা কারা নিজেদের মতো করে বোমা রেখে গিয়েছিল, সেটাকেই বোমাবাজির ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।”
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On Babul Supriya: বাবুলকে ‘পলিটিক্যাল টুরিস্ট’ বলে কটাক্ষ দিলীপের!