AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

North Dinajpur Chaos: ‘প্রেসক্রিপশন দেখিয়েও রেহাই দিল না’, চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মেরেই ফেলল গ্রামবাসীরা

Karandighi: খবর পেয়ে ওই যুবকের আত্মীয় স্বজনরা সেখানে গিয়ে তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়ে জানিয়ে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখায়।

North Dinajpur Chaos: 'প্রেসক্রিপশন দেখিয়েও রেহাই দিল না', চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মেরেই ফেলল গ্রামবাসীরা
চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মেরেই ফেললেন গ্রামবাসীরা (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 4:45 PM
Share

উত্তর দিনাজপুর: চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মারের জেরে শেষমেশ মৃত্যু হল ওই যুবকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরে। মৃতের নাম জামিরুদ্দিন (২২)।

উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘি থানার উত্তর কচরা গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানকার এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক জামিরুদ্দিন সাইকেল চালিয়ে লাহুতারা গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরপর আচমকাই মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে তিনি বাড়ি উদ্দেশে রওনা হন। পথে লাহুতারা গ্রামের কয়েকজন এলাকাবাসী ঘিরে ধরে তাঁকে। জানার চেষ্টা করে এত রাত্রে তিনি কোথায় যাচ্ছেন। তবে ওই যুবকের অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে চোর সন্দেহ হয় তাঁদের।

এরপর লাহুতারা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে বেঁধে রেখে গণধোলাই দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ওই যুবকের আত্মীয় স্বজনরা সেখানে গিয়ে তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়ে জানিয়ে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখায়। অভিযোগ, তখনও মেলেনি রেহাই। সেই কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করেই উত্তেজিত গ্রামবাসী তাঁকে ব্যাপক মারধর করতে থাকে ।

এরপর খবর পেয়ে করনদিঘি থানার পুলিশ রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় জামিরুদ্দিনকে উদ্ধার করে করনদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। পরে রায়গঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরই উত্তেজনা দেখা দেয়। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।

বুধবার রায়গঞ্জ মেডিক্যালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করনদিঘি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় রেজ়াউল করিম বলেন, “কালকে মামারবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। মামার ছেলের সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। হঠাৎ রাতের বেলাই ও মামার ছেলের মোবাইল আর নিজের সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে চলে যায়। মাঝ রাস্তায় কয়েকজন সেই সময় ওকে বেঁধে রেখে তখনই মারধর শুরু করে। আমরা পরে জানতে পারি ওকে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাড়ির লোক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপসন দেখালেও ছাড় মেলেনি। মারতে-মারতে আধমরা করে ফেলে ওরা। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁকে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়।”

আরও পড়ুন: Diamond Harbour: তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘পাড়ায় আমরা’, কারা সুবিধা পাবেন জানেন?