Gaighata Road Accident: হাতে নতুন জামার প্যাকেট ভিজল রক্তে, বাড়ির স্টপেজে এসেও ফিরতে পারলেন না যাত্রী
Accident: এদিকে, এই মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
গাইঘাটা: নতুন জামা কাপড় কিনে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বাড়ির স্টপেজে পৌঁছেও আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। বাস থেকে নামতে গিয়ে সেই গাড়িরই চাকায় পিষ্ট হয়ে যান তিনি। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানা এলাকার মণ্ডলপাড়ায়। মৃতের নাম দিব্যেন্দু মণ্ডল। স্ত্রীর সঙ্গে হাবড়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এদিকে, এই মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এই অবরোধের জেরে যশোর রোডে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া থেকে একটি বেসরকারি বাসে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সস্ত্রীক দিব্যেন্দুবাবু। গাইঘাটার চাঁদপাড়া মণ্ডল পাড়ায় তাঁদের বাড়ি। নির্দিষ্ট স্টপেজের নামতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, যাত্রী নামানোর রয়েছে জেনেও চালক পুরোপুরি গাড়িটি দাঁড় করায়নি। এর জেরেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চলে যায় বাসটি। এরপরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ি চলাচল অভিযোগ তুলে যশোর রোড অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধের জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয় ওই রাস্তায়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা অঙ্কন মজুমদার বলেন, “যে বেসরকারি বাসটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপজ্জনকভাবে এই রুটের প্রত্যেকটি বাস চলে। আমরা একাধিকবার এই নিয়ে প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তার ভিত্তিতে যদি পদক্ষেপ নেওয়া হত তাহলে আজকে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।” অন্য আর এক বাসিন্দা নিতা রায় বলেন, “দিব্যেন্দু গাড়ি থামাতে বলেছিল। কিন্তু সে নামার আগেই বাস চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেই টাল সামলাতে না পেরে চাকার নিচে পড়ে যান তিনি। যে রুটের বাসের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছ যে রুটের বাসে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই রুটের প্রত্যেকটি গাড়ি একই রকমভাবে চলাচল করে। নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটে আমাদের এখানে। কেন বাস গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না তা জানি না।”
এদিকে, অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয় ঘাতক বাসটি। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক গাড়িটির চালক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kashmir Road Accident: কয়েক ফুট উঁচু থেকে উল্টে পড়ল বাস, কাশ্মীরে গিয়ে মৃত্যু ২ বাঙালি পর্যটকের