Deganga Murder: মশারিতে চাপ-চাপ রক্ত, পাশে ২ প্লেট ভাত রয়েছে বাড়া, দেগঙ্গায় উদ্ধার দেহ
North 24 pargana: শনিবার সকালে বেলা বাড়ার পরও ঘর থেকে বেরচ্ছিলেন না বাবলু। তাতেই সন্দেহ হয়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় সকলের সন্দেহ হয়। এরপর সকালে তাঁর মা ও প্রতিবেশীরা দেখেন,বিছানার উপর পড়ে আছে বাবলুর নিথর দেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

দেগঙ্গা: সাত-সকালে এক ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। যা ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। তদন্তে নেমেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, মদ্যপানের আসরেই এই খুন হয়েছে। মৃতের শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ধারাল অস্ত্র। আটক এক।
ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার দেগঙ্গা বাজার এলাকায়। মৃতের নাম বাবলু কর্মকার। তাঁর বয়স ৪৭ বছর। মৃত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, বাবলু দিনমজুরের কাজ করতেন। ঘরে একাই থাকতেন তিনি। আর তাঁর পাশের ঘরে থাকতেন বৃদ্ধা মা। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বাবলু রোজই নেশা করতেন। প্রতিদিন রাতে নিত্যনতুন বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপানের আসর বসতেন। শুক্রবার রাতেও এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন।
শনিবার সকালে বেলা বাড়ার পরও ঘর থেকে বেরচ্ছিলেন না বাবলু। তাতেই সন্দেহ হয়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় সকলের সন্দেহ হয়। এরপর সকালে তাঁর মা ও প্রতিবেশীরা দেখেন,বিছানার উপর পড়ে আছে বাবলুর নিথর দেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে দুজনের ভাতের থালা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহার করা ধারাল অস্ত্র। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। মদের আসরে গন্ডগোলের জেরে খুন না অন্য বিষয় জড়িত আছে এই খুনের পিছনে তার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, “এক বন্ধু নিয়ে থাকতেন। বিয়ে করেছিলেন তবে বৌ আর ওর সঙ্গে থাকে না। বাড়িতেই ছিলেন কালকে রাতে। দুজনের ভাত বাড়া ছিল দেখলাম। আমরা এসে সকালে দেখলাম চৌকির উপরে মরে পড়ে আছে। ঘাড়ে কোপানো ছিল।”
