উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে গ্রেফতার আরও এক। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে পাটনা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। ধৃতের নাম ধনঞ্জয় কুমার। অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় এই ধনঞ্জয় কুমার অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে জানা গিয়েছে।পাটনা থেকে গ্রেফতারির পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বারাকপুর ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট। শনিবারই তাকে বারাকপুর আদালত ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মার্চের শেষে এই খুনে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে উঠে আসে হোগলা বনের প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের তত্ত্বও। তবে এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারে আরও জটিল কোনও রহস্য। খুনে জড়িয়ে থাকতে পারে আরও অনেকেই। তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। খুনের মূল অভিযুক্ত ও ষড়যন্ত্রকারী গ্রেফতার হলেও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও অনেকেই রয়েছে। ১২ মার্চ পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। খুনের গোটা দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাইকের পিছনে বসে ছিলেন কাউন্সিলর অনুপম। তাঁর ঠিক পিছনেই নীল রঙের শার্ট পরে এক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিল। সামনের দোকানের দোকানিও তখন বাইরে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন।
আচমকাই নীল রঙা শার্ট পরিহিত ব্যক্তি হঠাৎ পকেট থেকে একটা বন্দুক বার করে নির্বিকারে কাউন্সিলরের মাথার পিছনে বন্দুক ঠেকিয়ে ট্রিগার চেপে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুপম দত্তের। নীল রঙের শার্ট পরিহিত সেই ব্যক্তি লুকিয়ে ছিল স্থানীয় হোগলা বনে। সেখান থেকে স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রহস্যের জট খুলতে থাকে।
জানা যায়, শম্ভুনাথ পণ্ডিতের সঙ্গে প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ ছিল অনুপমের। তাকে জেরা করে আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়। সুজিত পণ্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিত নামে দুজনকে মঙ্গলবার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এলাকায় ‘ভালো মানুষ’ হিসাবে পরিচিত কাউন্সিলর খুনে স্থানীয় মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এই ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। মাথা কে? কার নির্দেশে সুপারি কিলার শম্ভুনাথ গুলি চালিয়েছিল, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: সিবিআই-এর নজরে ঝালদা থানার জেনারেল ডায়েরির খাতা, আরও চাপে পুলিশ?