AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সাইকেলগুলো এই ছেলেটাই চুরি করছে! সন্দেহের বশে চলল গণপিটুনি

গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে চলে মারধর। ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ।

সাইকেলগুলো এই ছেলেটাই চুরি করছে! সন্দেহের বশে চলল গণপিটুনি
সাইকেল চোর সন্দেহে চলল বেধড়ক মার
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 9:24 PM
Share

বারাসত: বেশ কিছুদিন ধরেই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছিল এলাকায় চোর কে, সেটাই ধরতে পারছিলেন না এলাকার মানুষ। এরপর একটি চুরির ঘটনায় সন্দেহ গিয়ে পড়ে এক যুবকের ওপর। আর ধাকে উরে পুলিশের দ্বারস্থ না হয়েই চলল গণপিটুনি। গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে চুলের মুঠি ধরে চলল মার। দেগঙ্গা থানার কলসুরের ঘটনা। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মতে, এ ভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে মারধর করা উচিৎ হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সোমবার সকালের ঘটনা। সাইকেল চোর সন্দেহে এক যুবককে একটি বাড়ির গ্ৰিলের সঙ্গে হাত বেঁধে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখেন, মোবাইলে রেকর্ডও করেন। কিন্তি যুবককে বাঁচাতে আসেনি কেউ। এরপর খবর পেয়েই দেগঙ্গা থানার পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। সেখাএ গিয়ে উদ্ধার করে যুবককে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে চলেছিল। অভিযুক্ত যুবক একাধিক চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত বলেও দাবি স্থানীয়দের। এ দিন সাইকেল চুরির সময় নাকি ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরই চলে এলোপাথাড়ি মারধোর। দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে যুবককে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে ভাবে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে তা অমানবিক। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বলছি, ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল। আইনগতভাবে শাস্তি দেওয়াটাই উচিৎ।’ তাঁর কথায়, পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, আইন রয়েছে। কিন্তু আইনের উর্ধ্বে উঠে এই ধরনের কাজ কখনও মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ আছে, তারাই ব্যবস্থা নেবে। তৌফিক নামে আর এক ব্যক্তিও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া উচিৎ ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।

এ ভাবেই মালদায় ছাগল চুরির অভিযোগে এক যুবককে পাঁচ ঘণ্টা খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছিল। চলে বেধড়ক মারধরও। গত জুলাই মাসের ঘটনা। চড়া রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও দেওয়া হয়নি পানীয় জলটুকু। এমনই নৃশংসতার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল হবিবপুরে। ছাগল চোর সন্দেহে ওই যুবককে গ্রামে ধরে নিয়ে যান স্থানীয়রা। গ্রামে বসে সালিশি সভা। সেখানেই নিদান দেওয়া হয় খুঁটিতে বেঁধে রাখা হবে। এবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল দেগঙ্গায়। আরও পড়ুন: আর কতবার হারাবে শুভেন্দু? বিরোধী দলনেতার ভবানীপুরে না দাঁড়ানোর ‘যুক্তি’ দিলীপের