বন্ধ স্কুলে বোমা বাঁধতে গিয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ! জখম ৩, শাসনে তুঙ্গে রাজনীতির পারদ

Bomb Blast:পুলিশ সূত্রে খবর,  শনিবার গভীর রাতে শাসন থানার বালিপুর বজবজিয়া এলাকার একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে বোমা বাঁধছিল এই দুষ্কৃতীরা। আচমকা যে বিস্ফোরণ হবে তা আঁচ করতে পারেনি তারা।

বন্ধ স্কুলে বোমা বাঁধতে গিয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ! জখম ৩, শাসনে তুঙ্গে রাজনীতির পারদ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2021 | 4:19 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বহুদিন ধরে বন্ধ স্কুল। সেই সুযোগটাই বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বন্ধ স্কুল ঘরে রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধতে গিয়ে বাঁধছিল তিন দুষ্কৃতী। আচমকা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় ঘটনাস্থলেই জখম হয় তিন জন। শনিবারের গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শাসন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আহতরা সকলেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলামের  কথায়, “বালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। এখন স্কুল বন্ধ। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা বোমা বাঁধতে শুরু করে। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়। গ্রামে একটা গোরস্থান আছে। সেই গোরস্থানের দখল নিয়েই ঝামেলা হয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা।” গ্রামের অন্য এক বাসিন্দা ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মহম্মদ মোশিয়া রহমান   বলেন, “ভোররাতে আমরা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) আওয়াজ পাই। আমাদের দলের বেশ কিছু কর্মী খোঁজ খবর নিয়ে দেখে বালিপুরের স্কুল ঘরে কয়েকজন দুষ্কৃতী বোমা বাঁধছিল। আমাদের কর্মীরা ওদের বাধা দিতে গেলে তাদের উপরেও চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতীরা। আমাদেরও বেশ কিছু কর্মী আহত হয়েছে।”

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছে দুষ্কৃতীদের মধ্যে বছর ছাব্বিশের সাবির আলি, বছর পঁচিশের জাহাঙ্গির আলি এবং মিজান আলি নামে তিন দুষ্কৃতী। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত এক দুষ্কৃতীর দাদা আলম গিরের কথায়, “রাত দশটার সময় আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি থেকে। কেন ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমরা জানি না। যারা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তারা আইএসএফ করে। পরে শুনি বোমায় আহত হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে খবর,  শনিবার গভীর রাতে শাসন থানার বালিপুর বজবজিয়া এলাকার একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে বোমা বাঁধছিল এই দুষ্কৃতীরা। আচমকা যে বিস্ফোরণ হবে তা আঁচ করতে পারেনি তারা। তবে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় বিজেপি ও আইএসএফের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, প্রশ্ন উঠছে লকডাউনের জেরে কি এতটাই অরক্ষিত স্কুলবাড়ি, বিশেষ করে একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র? দুষ্কৃতীরাই বা কী করে স্কুলে এসে বোমা বাঁধতে পারে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: একটা নয়,দুটো নয়, ‘মদন ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কাউন্সিলরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫০ টি কৌটো বোমা!