Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে খেলা ঘোরাল তৃণমূল? লাঠি-ঝাঁটা হাতে নামা আন্দোলনকারীরা যোগ দিলেন জোড়াফুলে
Sandeshkhali: আজ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে এলাকায় প্রচারে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যদিও, যাঁর সমর্থনে এই সভা তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, হাজি নুরুলকে নিজের ব্যস্ততার জন্য অন্য জায়গায় যেতে হয়েছে।

সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দাররা জোর করে দখল করে নিয়েছিলেন জমি। এই অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন গ্রামের মহিলারা। এবার সন্দেশখালির সেই পাত্র পাড়াতেই বড় চমক দিল তৃণমূল। সেখানকার আন্দোলনকারীরা মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে যোগ যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর হাত থেকে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা।
আজ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে এলাকায় প্রচারে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যদিও, যাঁর সমর্থনে এই সভা তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, হাজি নুরুলকে নিজের ব্যস্ততার জন্য অন্য জায়গায় যেতে হয়েছে। এ দিন যোগদান প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানান, “আমাদের দলবল বাড়ছে। আমরা অরাজনৈতিক আন্দোলন করেছিলাম। সেই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিজেপি এসে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে। প্রার্থীও করছে এই কারণে। আমরা ভেবেছিলাম সবাই একসঙ্গে থাকব। ওরা আমাদের ভাগাভাগি করছে। আমাদের আন্দোলনকে বিশ বাঁও জলে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে।”
অপরদিকে যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, “সন্দেশখালিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে অস্বীকার করি না। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখানে অন্যায় হয়েছিল। তার প্রতিকারও দিদি দিয়েছেন। আদিবাসীদের জমি জোর করে দখল করা যাবে না বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারকে বিশ্বাস করুন। বিজেপিকে করবেন না। কখনও ভুল করবেন না।” উল্লেখ্য, এই সন্দেশখালি নিয়ে বরবরই রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছিল বিজেপি। এমনকী এলাকার ভূমিকন্যা রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। প্রথমে যদিও এই রেখার বিরুদ্ধেই একাংশ বিক্ষোভ দেখান। পরে আবার সেই বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। কিন্তু তৃণমূল যে এত সহজে ব্যাকফুটে যেতে নারাজ তা আরও একবার এ দিনের ঘটনাই প্রমাণ করে দিল।





