Sandeshkhali: সন্দেশখালি-কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি
Sandeshkhali: রবিবার কার্যত 'নাটক' চলে অজিতকে নিয়ে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি এক সিভিক ভলান্টিরের বাড়িতে গা ঢাকা দেন। কিন্তু জনরোষ কমেনি। এরইমধ্যে বিকাল গড়াতেই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে হাজির হয় সেই বাড়ির সামনে। গ্রামে ছিলেন তিন পুলিশ কর্তা আইজি ট্রাফিক, ডিআইজি বারাসত, এসপি বসিরহাট।

সন্দেশখালি: অবশেষ গ্রেফতার হলেন অজিত মাইতি। রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে আটক করা হয় এই তৃণমূল নেতাকে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অজিতকে।
রবিবার কার্যত ‘নাটক’ চলে অজিতকে নিয়ে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি এক সিভিক ভলান্টিরের বাড়িতে গা ঢাকা দেন। কিন্তু জনরোষ কমেনি। এরইমধ্যে বিকাল গড়াতেই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে হাজির হয় সেই বাড়ির সামনে। গ্রামে ছিলেন তিন পুলিশ কর্তা আইজি ট্রাফিক, ডিআইজি বারাসত, এসপি বসিরহাট। তাঁরা গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে রামপুর বাজার এলাকায় আসেন। ঠিক এরপরই অজিতকে বের করা হয়। অবশেষে গ্রেফতার হন তিনি।
বারবার গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, শেখ শাহজাহান, তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ এই অজিত মাইতি। তাই তাঁর দাপটও ছিল এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, জমি দখল, জমি কেড়ে নেওয়া,টাকা লুঠ সহ একাধিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। যদিও, অজিত স্পষ্টত জানিয়েছিলেন, তিনি কারোর জমি কেড়ে নেননি। বরং সিরাজের সঙ্গে থাকার জন্যই এই রকম হেনস্থা হতে হচ্ছে তাঁকে। অজিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “২০১৯ সালে বিজেপি করতাম। তখন শাসকদলের লোকজন মারধর করে শাসকদলে যোগদান করতে বাধ্য করে।” অপর দিকে, গতকালই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অজিত মাইতিকে আগেই সরিয়ে দিয়েছি। উনি কোনও কালেই অঞ্চল সভাপতি ছিলেন না।”





