Ashoke Nagar: ছেলেধরা ঘুরছে পাড়ায়, রটতেই অশোকনগরে তুলকালাম! আক্রান্ত পুলিশও
Ashoke Nagar: ওই তরুণী ডায়মন্ড হারবার এলাকার বাসিন্দা। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ান নানা জায়গায়। তাঁর মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শুক্রবার বিকালে পুমলিয়ায় চলে আসেন তিনি। এদিকে অচেনা মুখ দেখে এলাকার লোকজন সন্দেহ করেন। এরপরই কয়েকশো মানুষ ঘিরে ধরে তাঁকে। শুরু হয় বেধড়ক মার।
বারাসত: গত কয়েকদিন ধরে ছেলেধরা আতঙ্ক উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির একাধিক জায়গায়। বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বেগে পরিবারের লোকেরা। সতর্ক থাকতে বলছে স্কুলগুলিও। বাড়িতে যাদের বাচ্চা রয়েছে, তারা উদ্বিগ্ন থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই উদ্বেগের ফল কোথাও কোথাও সাংঘাতিক আকার নিচ্ছে। আবারও ছেলেধরা সন্দেহে এক তরুণীকে গণপিটুনি দিল এলাকার লোকজন। কিছুদিন আগেই বারাসতে যে ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার তারই পুনরাবৃত্তি অশোকনগরে। শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পুমলিয়ায় বেধড়ক মার খেলেন ২৮ বছরের এক তরুণী। উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশও আক্রান্ত হয় বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী ডায়মন্ড হারবার এলাকার বাসিন্দা। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ান নানা জায়গায়। তাঁর মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শুক্রবার বিকালে পুমলিয়ায় চলে আসেন তিনি। এদিকে অচেনা মুখ দেখে এলাকার লোকজন সন্দেহ করেন। এরপরই কয়েকশো মানুষ ঘিরে ধরে তাঁকে। শুরু হয় বেধড়ক মার।
এদিকে ততক্ষণে অশোকনগর থানায় খবর চলে যায়। পুলিশের দল গিয়ে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। তবে এত লোকের মাঝে তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানান, এসআই মানিক মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন সেখানে। জনতার ঠেলাঠেলিতে তিনি কার্যত পড়ে যান মাটিতে। পরে ওসি চিন্তামণি নস্করের উদ্যোগে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে গ্রামে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ৫ জনকে আটকও করা হয়।
অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার বলেন, “ডায়মন্ড হারবার থেকে আজ বিকালে একটি মেয়ে পুমলিয়াতে চলে এসেছিলেন। কীভাবে এলেন জানা নেই। পুমলিয়ার কয়েকজন ছেলেধরা সন্দেহে মারধর শুরু করে। তাঁর প্রাণহানি হতে পারত। তবে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পুলিশ বাঁচাতে গিয়ে জনতার ধাক্কায় পড়েও যান। কিন্তু পুলিশ তৎপর না হলে মেয়েটিকে হয়ত বাঁচানোই যেত না। আমার একটাই অনুরোধ, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পুলিশকে জানান। থানা সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছে।”