Tapas Roy: ‘শুভেন্দুরও রাহুল গান্ধীর মতো অবস্থা হত, মমতা বললেন ক্ষমা করে দাও’

Tapas Roy: "কদিন আগে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ আনতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে বললেন ওকে ক্ষমা করে দাও। প্রিভিলেজ আনতে হবে না।"

Tapas Roy:  'শুভেন্দুরও রাহুল গান্ধীর মতো অবস্থা হত, মমতা বললেন ক্ষমা করে দাও'
শুভেন্দু ইস্যুতে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল বিধায়কের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 3:26 PM

খড়দহ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা করে দিতে। এবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শনিবার খড়দহের রবীন্দ্রভবনে দলীয় একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। দুর্নীতি ইস্যুতে পাল্টা এবার বিরোধীদেরই বিঁধতে শুরু করেছেন শাসক নেতৃত্ব। সে বামেরাই হোক কিংবা বিজেপি। সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তাপস রায়ের মুখে উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কদিন আগে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ আনতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে বললেন ওকে ক্ষমা করে দাও। প্রিভিলেজ আনতে হবে না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “ওই প্রিভিলেজ যদি ঠিকমতো আনতে পারতাম বা আনতে দিতেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে রাহুল গান্ধীর মতো শুভেন্দুরও বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যেত।”

চলতি মাসের ১১ তারিখই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও একটি স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব জমা পড়ে। গত প্রায় ২ বছরে মোট সাতটি প্রিভিলেজ জমা পড়ে বিধানসভায়। সপ্তম প্রিভিলেজটি শনিবার জমা দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।

ঘটনাপ্রবাহ বলছে, শুভেন্দু অধিকারী পার্থ ভৌমিকের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘এক মাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেব।’ পার্থ ও শুভেন্দুর বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা কক্ষও। এই ধরনের মন্তব্যের জেরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনেন পার্থ। বস্তুত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মোট মোট সাতটি স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমটি এনেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দ্বিতীয়টি বিশ্বজিৎ দাস, তৃতীয়টি কৃষ্ণ কল্যাণী, চতুর্থটি সৌমেন রায়, পঞ্চমটি তন্ময় ঘোষ, ষষ্ঠটি পার্থ ভৌমিক। সপ্তমটি আবার তিনিই আনেন। কিন্তু তাপসের দাবি, তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন স্পিকার। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি।

তাপস রায়ের এই মন্তব্যকে বিশেষ একটা আমল দিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর শহরতলির যুব নেতা জয় সাহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মতো আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছে। তারপর নিত্যদিন যেভাবে শাসকদলের নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে, তাতে ওঁ মানসিক সত্তোলন হারিয়ে ফেলেছেন। যা বলছেন, তার কোনও ভিত্তিই নেই।”