Temple chaos: মন্দিরে চুরি নিয়ে ধুন্ধুমার! রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ
Amdanga: মন্দির থেকে মাত্র তিনশ মিটার দূরে থানা। তারপরও কীভাবে চুরি হচ্ছে প্রশ্ন স্থানীয়দের
আমডাঙা: আমডাঙার প্রাচীণ কালীমন্দিরে চুরি নিয়ে স্তব্ধ হল জাতীয় সড়ক। চুরির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তির দাবি করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসী। সকাল-সকাল স্তব্ধ হয়ে পড়ে যাবতীয় যানবাহন চলাচল।
পাঁচশ বছরের পুরোনা আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দির। বলা হয় মুঘল আমলে তৈরি হয়েছিল মন্দিরটি। সেখানেই কোটি টাকার অলঙ্কার চুরির অভিযোগ। খবর জানাজানি হওয়া মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। কারণ ওই পুরোনো মন্দিরের সঙ্গে গ্রামের মানুষের অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে।
এদিকে, চুরি ঘটনা সামনে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশ স্টেশনে। ঘটনাস্থানে আসে আমডাঙা থানার পুলিশ ও অ্যাডিশনাল এসপি, এসডিপিও। গ্রামবাসীদের একটাই প্রশ্ন মাত্র মন্দির থেকে মাত্র তিনশ মিটার দূরে রয়েছে আমডাঙা থানা। তারপরও কীভাবে এই চুরি হয়ে থাকে। পাশাপাশি মন্দিরে রয়েছে সিসিটিভি।
ঘটনাস্থানে পুলিশ আসতেই তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেকাতে শুরু করে সাধারণ জনগণ। পরিস্থিতি বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সাধারণের প্রবেশ মন্দিরে নিষেধ করে দেয় প্রশাসন। এতে আরও চটে যান এলাকাবাসী। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর। তবে ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এক এলাকাবসী বলেন, “আমাদের দাবি এইভাবে একটা মন্দিরে চুরি হল কীভাবে? পাশাপাশি তিনদিনের মধ্যে মন্দিরের সমস্ত গহনা ফেরত চাই। এই ঘটনা কেন ঘটবে? এর আগেও চুরি হয়েছে এই মন্দিরে। বারবার একই ঘটনার কেন পুনরাবৃতি হবে?” ঘটনার পর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ঘটনাস্থানে আসেন আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার আরও এক ধর্মীয় স্থানে অবমাননার খবর সামনে আসে। তবে সেটি এই রাজ্যের নয়। পঞ্চাবের। ধর্মীয় স্থানে অবমাননাকর আচরণ করার অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।
শনিবার পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়, এক ব্যক্তি স্বর্ণ মন্দিরের ভিতর ঢুকে অবমাননাকর আচরণ করেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত পৌঁছয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায় এবং ক্ষিপ্ত জনতার মারধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।