খড়দহ: তৃণমূলের অন্যতম প্রবীণ নেতা সৌগত রায়। ৭৬ বছর বয়সেও তিনি দুর্দান্ত ফিট। গোটা দমদম লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটের প্রচারে। আর এবার দলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায়কে সার্টিফিকেট দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার খড়দহে লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে সৌগতর সাংগঠনিক দক্ষতার কথা বললেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, ‘সৌগতদা আজীবন সবুজ। এত কাজ করার ইচ্ছা… এত কাজ করতে পারেন। মানুষের কাজে আমি অজিত পাঁজার পরে দেখেছি সৌগতদাকে। যিনি ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করার মতো এলাকায় কাজ করেন।’
মমতার সঙ্গে সৌগত রায়ের রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্নেরও আগে থেকে। যখন তাঁরা কংগ্রেসে ছিলেন, তখন থেকে এই সম্পর্ক। সেই প্রবীণ নেতার জনসংযোগের কথা বোঝাতে গিয়ে আজ মমতা বলেন, ‘সৌগতদা একটা বিয়ে বাড়ি, পৈতে বাড়ি, পুজো বাড়িও ছাড়েন না।’ কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে প্রবীণ নেতা দাঁড়াতে চাইবেন কি না, সে নিয়ে কিছুটা সংশয়ে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আজ খড়দহের সভা থেকে নিজেই সে কথা বলেন মমতা। যখন সৌগত রায় ভোটে লড়বেন বলে নিশ্চিত করেন মমতাকে, তখন চিন্তামুক্ত হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোও।
মমতার কথায়, ‘যখন সৌগতদা বললেন, হ্যাঁ দাঁড়াব, আমি ভাবলাম ভালই হল। সৌগতদা দাঁড়ালে আমার চিন্তার কোনও কারণই নেই। সংসদে কথা বলার এক নম্বর লোক হলেন সৌগত রায়। যাঁকে বিজেপি কোনওদিন হারাতে পারে না।’
উল্লেখ্য, তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ঘিরে অতীতে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, দলে নবীন-প্রবীণ উভয়ই প্রয়োজন। আর বছর ছিয়াত্তরের সৌগত রায় তৃণমূলের সেই অভিজ্ঞ, পোড় খাওয়া প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। আজ সেই প্রবীণ নেতাকে জনসংযোগ ও লোকসভায় বিজেপিকে চাপে রাখার ইস্য়ুতে সার্টিফিকেট দিয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রসঙ্গত, সৌগত রায় অবশ্য অতীতে নিজেকে নবীন-প্রবীণ বিতর্কের বাইরে, একজন সাংসদ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন। দলের মধ্যে যে মমতাই শেষ কথা, সে কথাও অতীতে স্পষ্ট করেছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা।