WB Bypoll 2021: পুজো শেষেই রাজ্যে আরও উপনির্বাচন, মনোনয়নপত্র জমা খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেবের
Sovandeb Chatterjee:বরাবরই তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী বলে পরিচিত শোভনদেব একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
উত্তর ২৪ পরগনা: হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি পুজো। রাজ্যের ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচন (West Bengal Bypoll 2021) আগেই মিটেছে। পুজো শেষেই বঙ্গে আরও ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই চারটির মধ্যে একটি হল খড়দহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্য়ু হওয়ায় ওই কেন্দ্রে ফের নির্বাচন। এ বারের তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। বৃহস্পতিবার, ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বর্ষীয়ান নেতা।
এদিন, খড়দহের শ্যাম মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন শোভনদেব। প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, “খড়দহে বিধায়ক নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে এখানকার নিকাশি ব্যবস্থার পরিকাঠামো ঠিক করা। এছাড়া অন্যান্য যে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা রয়েছে তাও পালন করব।”
বরাবরই তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী বলে পরিচিত শোভনদেব (Sovandeb Chatterjee) একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। মমতা প্রার্থী নির্বাচিত হন নন্দীগ্রামে। কিন্তু, সেখানে পরাজিত হন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্য়মন্ত্রীকে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। সেই মোতাবেক ভবানীপুর থেকেই নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভবানীপুরের আসনটি ছেড়ে দেন শোভনদেব। পরবর্তীতে খড়দহ থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী নির্বাচিত হন।
কিন্তু, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিতর্কের জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিশেষ অনুরোধে কার্যত ভবানীপুরে উপনির্বাচন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। ইলেকশন কমিশনকে লেখা মুখ্যসচিবের সেই চিঠিতে মুখ্যসচিব উল্লেখ করা হয়, উপনির্বাচন আগে না হলে তা সাংবিধানিক সঙ্কট। শুধু তাই নয়, ওই চিঠিতে কেবল ভবানীপুর কেন্দ্রেরই নাম ছিল। সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর-সহ অন্য কেন্দ্রগুলির নাম ছিল না। কেন কেবল ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের আবেদন মুখ্য়সচিবের এই মর্মে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় একাধিক প্রশ্ন তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। মুখ্যসচিবের চিঠি দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেই দ্রুত উপ-নির্বাচন করা হচ্ছে ভবানীপুরে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই মর্মেই আবেদন জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিব প্রশাসনিক পদে থেকে নির্বাচনের জন্য এ ভাবে চিঠি লিখতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
শুধু তাই নয়, একই আসনে একাধিকবার ভোট ও অর্থব্যয় কেন? কেনই বা জেতা আসেন ছেড়ে দিচ্ছেন শোভনদেব? এমন নানাবিধ প্রশ্নে কার্যত, হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য। যদিও, পরে পিছিয়ে যায় মামলার শুনানি। গত ৩ অক্টোবর ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অবশেষে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন খড়দহ থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন শোভনেদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৩০ অক্টোবর, খড়দহ ছাড়াও দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবাতেও উপনির্বাচন রয়েছে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে বিহার থেকে পিকে-কে তুলে এনেছেন’, কটাক্ষ শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!