‘বিজেপির দালাল’ কংগ্রেস জেলা সভাপতিকে দলে নিতে নারাজ ঘাসফুল, পোস্টারে ছয়লাপ বসিরহাট!

Poster Protest: কী লেখা হয়েছে সেই পোস্টারে? লেখা হয়েছে, "বিজেপির দালাল, কংগ্রেস সিপিএম সিম্বল বিক্রি এই অমিত মজুমদারকে তৃণমূল কংগ্রেস দলে নিচ্ছে না নেবে না।"

'বিজেপির দালাল' কংগ্রেস জেলা সভাপতিকে দলে নিতে নারাজ ঘাসফুল, পোস্টারে ছয়লাপ বসিরহাট!
বাঁদিকে, বিতর্কিত পোস্টার, ডানদিকে কংগ্রেস নেতা অমিত মজুমদার, নিজ্স্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 5:30 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: সদ্য় সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমেই ঘর ভরছে তৃণমূলের (TMC)। সেই যোগদান পর্বকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলের অন্দরের কর্মীরাই। এ বার পোস্টার বিতর্কে জড়ালেন বসিরহাটের জেলা কংগ্রেস (INC) সভাপতি অমিত মজুমদার। কেবল অমিত নন, বিতর্কে নাম জড়িয়েছেন বসিরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্ত্রী পারমিতা মজুমদারও।

শনিবার, বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে দেখা যায়  বিতর্কিত পোস্টার। কী লেখা হয়েছে সেই পোস্টারে? লেখা হয়েছে, “বিজেপির দালাল, কংগ্রেস সিপিএম সিম্বল বিক্রি এই অমিত মজুমদারকে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) দলে নিচ্ছে না নেবে না।” নীচে লেখা রয়েছেন, “৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস”। শাসকশিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা অমিত মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী পারমিতা মজুমদার নানাকম দুর্নীতির পাশাপাশি গরিব মানুষের টাকা আত্মসাত্‍ করেছেন। নানারকম দু্র্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁদের দলে চায় না ঘাসফুল।

তৃণমূল(TMC) নেতা বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “পারমিতা মজুমদার ও অমিত মজুমদার দুজনেই কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। ভোটের সময় বিজেপির থেকে টাকা খেয়েছেন। এখন তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। কত গরীব মানুষের টাকা এঁরা আত্মসাত্‍ করেছেন তার ঠিকঠিকানা নেই। গরিবমানুষের বেনিফিসিয়ারি ঘরের টাকা নিয়ে নিয়েছে। তাঁরা এখনও গৃহহীন। একাধিক মানুষ  সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পাননি। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আমরা দলে চাই না।” এদিন, আইএনটিটিইউসির বসিরহাট মহকুমার সভাপতি কৌশিক দত্ত ও তৃণমূল নেতা বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের  উদ্যোগে বসিরহাট পৌরসভা, শরৎ বিশ্বাস রোড, কাছারিপাড়া ও বোটঘাট সহ একাধিক জায়গায় ওই কংগ্রেস দম্পতির বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়।

পাল্টা, কংগ্রেস নেতা অমিত মজুমদার বলেন, “আমার সঙ্গে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সদর্থক কথাবার্তা হয়নি। তবে যে পোস্টার দেওয়া শুরু হয়েছে তা ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে। কারণ, আমরা বিরোধী দলের প্রতিনিধি। আমরা যদি কোনও অন্যায় কাজ করি, তবে কি তা দেখা হবে না? শাসক দল বা সরকার কি তার হিসেব চাইবে না? এই সবটাই  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” আরও পড়ুন: জিতলেন অনুব্রত! মঙ্গলকোট-কাণ্ডে গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা