
সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহানের কেসের অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগে আগেই দায়ের হয়েছিল এফআইআর। তালিকায় নাম ছিল ৮ জনের। নাম ছিল শেখ শাহজাহান-সহ তাঁর স্ত্রীরও। পুরোদমে তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। এবার এই কেসে গ্রেফতার রুহুল কুদ্দুস তরফদার ও উত্তম সর্দার। এদিনই ধৃতদের তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। রুহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ন্যাজাট থানার রাজবাড়ির পুলিশ ফাঁড়ির সরবেড়িয়া এলাকা থেকে। অন্যদিকে উত্তমকে ধরা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাট থানার হাতিশালা থেকে। আদালতে তোলা হলে এদিন তাঁদের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এরমধ্যে উত্তম সর্দার আবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সিবিআই-ইডির উপরেও হামলার অভিযোগও রয়েছে এই উত্তমের বিরুদ্ধে। আগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন জেল খাটতেও হয়েছিল। তারপর জামিন। এবার সেই উত্তমকে ফের গ্রেফতার করায় নতুন করে চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে।
সরকারি আইনজীবী অরুণ কুমার পাল বলছেন, “এফআইআর কপিতে এদের নাম না থাকলেও এদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল কিন্তু আদালত ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। তদন্ত চলছে, দেখা যাক কী উঠে আসে।”
যদিও সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের দাবি, ঘটনার পিছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। আসলে তাঁদেরই আড়াল করা হচ্ছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সুর চড়িয়ে তিনি বলছেন, “যে ট্রাক চাপা দিয়ে পালিয়ে গেল তাঁকে তো পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারল না। আসলে ছোট ছোট মাথাগুলিকে গ্রেফতার করে বড় বড় মাথাগুলিকে ছেড়ে রেখে দিয়েছে। সন্দেশখালির পুলিশ-প্রশাসন আসলে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে।”