উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ির সামনে মদ্যপান করে দেদার গালিগালাজ চলছিল। প্রতিবাদ করেন আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, এরপরই তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় একদল যুবক। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বনহুগলির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আক্রান্ত দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির সামনে মদ্যপান করছিল কিছু যুবক। পেশায় আইনজীবী এর প্রতিবাদ জানান। এরপরই ঘটনাস্থলে থাকা পাঁচজন যুবক লাঠি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্ত্রীও।
অভিযোগকারীর কথায়, “প্রকাশ্যে মেয়েদের নোংরা নোংরা কথা বলে। দিনরাত এইসব চলছে। আমাদের বাড়ির গেটের সামনে পেয়ারা বাগানের মধ্যে বসে ওরা তাস খেলছিল। সঙ্গে মদভর্তি গেলাস সাজানো। আমরা বারণ করায় অকথ্য ভাষায় কথা বলে। সোমবারও তাই করছিল। আমরা না করায় বলছে দরজা বন্ধ করে বসে থাকুন। না হলে বাগানে চলে আসুন। এই কথা শুনেই আমার স্বামী প্রতিবাদ করে। তাতেই ১০ জন মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওর পেটে, মুখে, বুকে মেরেছে। আমার ঘরের ভিতর ঢুকে জিনিসপত্র ভেঙেছে। বাগানের গাছ নষ্ট করেছে।”
ওই আইনজীবী জানান, সন্ধ্যা ৮টা বাজতে না বাজতেই সব ভিড় করে বাড়ির সামনে। তাস খেলা শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে নেশা আর গালিগালাজ। মাঝেমধ্যে আবার টর্চও মারে। তাঁর অভিযোগ, বহুবার বলেও লাভ তো হয়ইনি। উল্টে এদিন এই ঘটনা ঘটে। দম্পতির দাবি, ওই যুবকের দল শাসিয়ে গিয়েছে, কোনও পুলিশ, আদালত, সংবাদমাধ্যম তাদের কিছুই করতে পারবে না। সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে ওরা।