TMC Conflict: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাতছে ভাটপাড়া, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই গলার কাঁটা তৃণমূলের
Barrackpore: অমিত সাউয়ের অভিযোগ, মন্নু সাউ ও তাঁর দলবল কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর উপর হামলা চালায়। পাল্টা অভিযোগ মন্নু সাউয়েরও।
ব্যারাকপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। এবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল ভাটপাড়া থানার কাঁকিনাড়া বাজার এলাকায়। ভাটপাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনে ঘোষপাড়া রোডের উপর তৃণমূল যুব নেতা অমিতকুমার সাউকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আরেক তৃণমূল নেতা মন্নু সাউ ও তাঁর অনুগামীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে শুধু ভাটপাড়া থানার পুলিশই নয়, নামাতে হয় র্যাফও। অমিত সাউয়ের অভিযোগ, মন্নু সাউ ও তাঁর দলবল কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর উপর হামলা চালায়। পাল্টা অভিযোগ মন্নু সাউয়েরও। এই ঘটনায় ভাটপাড়া থানায় দু’ পক্ষই অভিযোগ দায়ের করে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার শিরোনামে উঠে আসছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এই এলাকায় একসময় অর্জুন সিংয়ের একচ্ছত্র দাপটের কথা শোনা যেত। এরপর রাজনীতির সমীকরণে বদল আসে। অর্জুন দল বদলে হাতে তুলে নেন পদ্মফুল। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে জিতে সাংসদও হন। কিন্তু গত বছরই বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে তাঁর ‘ঘরওয়াপসি’ হয়। এরপর থেকে ব্যারাকপুরে তৃণমূলের নব্য-পুরাণের কোন্দলের অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে।
সম্প্রতি অর্জুন সিংকে হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা যায়, “অনেক অ্যাক্সিডেন্টাল নেতা তৈরি হয়েছিল। আমি আবার এসে গিয়েছি। একটা রাগ, অভিমানের জন্য আমি গিয়েছিলাম। তবে এখন এইসব অ্যাক্সিডেন্টাল নেতাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” দলের অন্দরে দলাদলির আভাস অর্জুনের বক্তব্যে প্রচ্ছন্ন। এরইমধ্যে ভাটপাড়ার এই ঘটনা।
ভাটপাড়া শহর-২ এর জেনারেল সেক্রেটারি মন্নু সাউয়ের অভিযোগ, “আমরা ৭-৮ জন এলাকায় বসেছিলাম। অমিত সাউ ১০০-১৫০ জন নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। এখানে একটা পাঁচিল নিয়ে ঝামেলা করল। আমি পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেবো। পুলিশ দেখে বিচার করবে। ওরা এখন তৃণমূল করে। বিজেপি থেকে এসেছে। আর আমরা প্রথম থেকেই তৃণমূলে।”
অন্যদিকে যুব তৃণমূল নেতা অমিত সাউয়ের দাবি, “মন্নু সাউ মুখে বলে তৃণমূল করে। কিন্তু আমাদের বিধায়ককেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে গালাগাল করে। দলের যত লোক আছে, সকলের সঙ্গে ওনার ঝামেলা। সবাইকে হুমকি দিয়ে বেড়ান। আজ আমরা ওয়ার্ড অফিসে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের উপর হামলা করে। আমরা ফুটেজ দেবো।”
এ বিষয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের ভাই স়ঞ্জয় শ্যাম বলেন, “এই মন্নু সাউ আমাদের অমিত সাউ, তরুণ সাউকে গালাগাল করে। শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান, বিধায়কের নামেও আজেবাজে কথা বলে। আজ হঠাৎই অমিত অফিসের বাইরে দাঁড়িয়েছিল। ওকে মারতে চলে আসে মন্নু।তৃণমূল করলেও আসলে ও দুষ্কৃতী। আমরা ওর গ্রেফতারি চাই। আমরা পুলিশকে বলেছি অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে।”