AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ছেঁড়া হল মমতার ফ্লেক্স, পোড়ানো হল পোস্টার, ফের ‘অগ্নিগর্ভ’ শিলিগুড়ি

শিলিগুড়ি শহরের ব্যস্ততম রাস্তা এয়ারভিউ মোড়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলছে বলে অভিযোগ। সেখানেই বেলা গড়াতে বিজেপির একটি মিছিল ঘিরে গোলমাল বাধে।

ছেঁড়া হল মমতার ফ্লেক্স, পোড়ানো হল পোস্টার, ফের 'অগ্নিগর্ভ' শিলিগুড়ি
এই পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা।
| Updated on: Dec 08, 2020 | 2:54 PM
Share

শিলিগুড়ি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স, পোস্টার পোড়ানোকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল শিলিগুড়ির (Siliguri) এয়ারভিউ মোড়। মঙ্গলবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধকে (North Bengal Strike) ঘিরে বেলা গড়াতেই চড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ। এদিন স্থানীয় রাস্তার মোড়ে লাগানো ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত একাধিক ফেস্টুন, পোস্টার। অভিযোগ, সেগুলিকে ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেন বিজেপির কর্মীরা। খবর যায় স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে। অভিযোগ, এরপর পাল্টা ময়দানে নামে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিস। বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।

সোমবার ছিল বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান (Uttarkanya Avijaan)। এই কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিলিগুড়ি। পুলিস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি শুরু হয়। এই লড়াইয়ের বলি হন এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ ওঠে, পুলিসের গুলিতেই উলেন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্য়ু হয়েছে। এরপরই গোটা বাংলাজুড়ে এই অশান্তির উত্তাপ ছড়াতে থাকে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দেয় বিজেপি।

আরও পড়ুন: শটগানের গুলিতে মৃত্যু উলানের! পুলিস গুলি চালিয়েছে, দাবি বিজেপির, তদন্তভার CID-কে

যদিও রাজ্য পুলিস মঙ্গলবারই টুইট করে জানিয়েছে, “তদন্তে দেখা গিয়েছে শটগানের গুলিতেই এই মৃত্যু। যে গুলি চালিয়েছে সে ওই ব্যক্তির খুব কাছেই ছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও শটগানের গুলিতে জখমের জেরেই মৃত্যর উল্লেখ আছে। কিন্তু পুলিস শটগান ব্যবহার করে না। এ থেকে স্পষ্ট শিলিগুড়িতে গতকাল মিছিলেই কেউ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছিল। সেখান থেকেই এই ঘটনা।” এরপরই রাজ্য সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

এদিন সকাল থেকেই এই বনধ ঘিরে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে জেলায় জেলায়। শিলিগুড়ি শহরের ব্যস্ততম রাস্তা এয়ারভিউ মোড়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলছে বলে অভিযোগ। সেখানেই বেলা গড়াতে বিজেপির একটি মিছিল ঘিরে গোলমাল বাধে। জোর করে গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি ঘোরাল হতে শুরু করে।

অভিযোগ, এরপরই রাস্তার মোড়ে যে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছিল সেগুলি বিজেপির লোকজন ছিঁড়ে ফেলে। তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তৃণমূলের লোকজন। শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। ক্রমেই তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বনধের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিজেপির লোকজন।