North Dinajpur: ‘মেয়াদ ফুরোলে একদিনও ফেলে রাখা যায় না…’, এবার পুরভোট চাইলেন খোদ তৃণমূলেরই জেলা সভাপতি
North Dinajpur: রায়গঞ্জ পুরসভার ৭৫ তম জন্মদিনে হাজির হয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ রায়গঞ্জ পুরসভার ভোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল।

উত্তর দিনাজপুর: বিরোধীরা নয়, এবার রায়গঞ্জে পুরভোট চাইলেন খোদ তৃণমূলেরই জেলা সভাপতি! মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর একদিনও ফেলে রাখা যায় না, দাবি জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের। এমনই ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।
রায়গঞ্জ পুরসভার ৭৫ তম জন্মদিনে হাজির হয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ রায়গঞ্জ পুরসভার ভোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার রায়গঞ্জ পুরসভা ভবনে পুরসভার জন্মদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কানহাইয়ালাল দাবি করেন, “রায়গঞ্জে পুর ভোট হওয়া জরুরি। কাউন্সিলর না থাকায় চারজন প্রশাসকদের যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে। তাছাড়া সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেই নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।” তবে কৌশলগতভাবে উন্নয়ন থমকে নেই বলেও দাবি করেন কানহাইয়ালাল।
এদিকে কানহাইয়ালালের এই মন্তব্যে যথেষ্টই চাপে পড়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসকরা। প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গ শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেললেও তাঁর দাবি, “কে কী মন্তব্য করেছেন তা উল্লেখযোগ্য নয়।” অন্যদিকে উপ প্রশাসক তথা দলের সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার অবশ্য বলেন, “নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার যেদিন ভোট চাইবেন সেদিনই আমরা প্রস্তুত।”
তবে বিরোধীরা এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দলকে। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির দাবি, “একুশের নির্বাচনে কানহাইয়ালাল রায়গঞ্জ বিধানসভায় প্রার্থী ছিলেন। তখন রায়গঞ্জের ২৭ টি ওয়ার্ডের একটি বুথেও তৃণমূল কংগ্রেসের লিড ছিল না। সেটা যে তৎকালীন চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরদের ষড়যন্ত্র ছিলো সেটা কানহাইয়ালাল বুঝে গিয়েই এই খোঁচা দিয়েছেন।”
পাশাপাশি কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহর বক্তব্য, “৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে জোর করে প্রশাসক বসিয়ে এখন নাগরিক পরিষেবা দিতে পারছে না। এরা কেউ আসলে নির্বাচন চায় না। সবটাই নাটক।”

