Asansol: কয়লার পর এবার লোহা চুরি আসানসোলে, দুষ্কৃতী দৌরাত্ব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সাধারণের
Asansol: এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই এলাকায় প্রবেশ করছে। আর লোহা ও কয়লা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কেকেএসসি সম্পাদক সুবোধ বাউরি ও ভগীরথ প্রসাদ রায়ের বক্তব্য, রবিবার রাত্রিবেলা খনির সাইডিং এ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন ওজনের লোহার চাকা রাখা ছিল। সকালে উঠে দেখা গেল তা উধাও।

আসানসোল: কয়লা পাচারের মাধ্যম হিসাবে আগেই নাম জড়িয়েছে আসানসোলের। এবার নতুন সংযোজন লোহা-পিতলের মতো সম্পত্তি। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন লোহার যন্ত্র গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে হাইবা ডাম্পারে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। খবর পাওয়ার পরও হেলদোল নেই ইসিএল কর্তৃপক্ষের এমনটাই অভিযোগ। ফলে সাধারণ জনগণই এবার নামলেন চুরির প্রতিবাদে। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমদিত কেকেএসসি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই এলাকায় প্রবেশ করছে। আর লোহা ও কয়লা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কেকেএসসি সম্পাদক সুবোধ বাউরি ও ভগীরথ প্রসাদ রায়ের বক্তব্য, রবিবার রাত্রিবেলা খনির সাইডিং এ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন ওজনের লোহার চাকা রাখা ছিল। সকালে উঠে দেখা গেল তা উধাও।
তাঁদের দাবি, ওই লোহার চাকা চুরি করার জন্য লোহা কাটার মেশিন ও বড় গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছে, চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ করতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা প্রয়োজন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আর ইসিএল কর্তৃপক্ষের একাশের মদতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বহিরাগত দুষ্কৃতীর এলাকায় নিয়ে এসে এই অসামাজিক কাণ্ড ঘটাচ্ছে। ইসিএল প্রশাসনকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বেলবাঁধ সাইডিং এর সমস্ত পরিবহন বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল তারা।
ঘটনার বিষয়ে ভগীরথ প্রসাদ বলেন, “তিন বছর ধরে এই বেলবাঁধ সাইডিং বন্ধ ছিল। তখন চুরি হয়নি। সাইডিং-এর কাজ শুরু হতেই ফের চুরি হওয়া শুরু হয়েছে।” তিনি মনে করছেন,খনি বন্ধ করার জন্যই এ হেন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর কয়লাখনি বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ বাসস্থান, জলের সুবিধা পেয়ে থাকেন সেগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দুষ্কৃতীদের চক্রান্ততে তারা পা দেবেন না বলেও জানান।
বেলবাদ সাইডিং ইনচার্জ অশোক সিং জানান, গতকাল রাত্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত হবে।
