পশ্চিম বর্ধমান: একাদশীর রাতে দুই শ্যালককে জলে ডুবিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ‘মদ্যপ’ জামাইকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। শনিবার রাতে আসানসোল উত্তর থানার বারাবনির নুনি গ্রামের ঘটনা। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হারু বাউরীক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, গণপিটুনির জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকারই একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে হাবলু ও অলোক, দুই তুতো ভাইয়ের দেহ। গতকাল রাতে গ্রামেই হারু, অলোক ও হাবলু বসে মদ্যপান করছিলেন ওই ডোবার ধারে। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের নিজেদের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, সেইসময় হারু বাউরি তাঁর দুই শ্যালককে বেধড়ক মারধর করেন। তারপর গলার মধ্যে গামছা পেঁচিয়ে ডোবার জলে চুবিয়ে খুন (Murder) করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্য়ু হয়। খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালানোকর চেষ্টা করেন হারু। কিন্তু, গ্রামেরই লোকজন তাঁকে ধরে ফেলে মারধর করেন। তারপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আসানসোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অলোক ও হাবুলকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, গুরুতর জখম হয়েছেন হারু। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও পরে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জ্ঞান ফিরলে হারুকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনায়, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় তিন জনের মধ্যে মারামারি হয়। তবে কী কারণে মারামারি তা স্পষ্ট নয়। হাতাহাতির কারণ খতিয়ে দেখছে উত্তর থানার পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। তবে, অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এক গ্রামবাসীর কথায়, “ওদের তো আজকের ঝামেলা নয়, মাঝেমধ্য়েই লেগে থাকে। কিন্তু, এভাবে যে খুন করে দিতে পারে তা ভাবতে পারিনি। হারুকে ফাঁসি দেওয়া হোক, আমরা এটাই চাই।”
আরও পড়ুন: Bankura: ১ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে রেলে চাকরি, নিয়োগপত্র জমা দিতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল যুবকের!
আরও পড়ুন: CPM TMC Clash: মার্কসীয় বুকস্টলে ভাঙচুর, ‘হামলা’ শাসক শিবিরের!