AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol Red Light Area: ঘণ্টায় তিন হাজার, এই রেটে ঘরে ঢুকিয়ে বেরনোর সময়ে বলা হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা! যৌনপল্লিতে সমান্তরালভাবে চলছে আরও এক ব্যবসা

Asansol Red Light Area: যদিও শাসক দলের নেতারা দালাল রাজের জন্য দায়ী করেছেন প্রশাসনের একাংশকে।

Asansol Red Light Area: ঘণ্টায় তিন হাজার, এই রেটে ঘরে ঢুকিয়ে বেরনোর সময়ে বলা হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা! যৌনপল্লিতে সমান্তরালভাবে চলছে আরও এক ব্যবসা
যৌনপল্লিতে দালালরাজ (প্রতীকী ছবি)
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 9:21 AM
Share

আসানসোল: এবার দালালরাজের অভিযোগ উঠল আসানসোলের যৌনপল্লি এলাকায়। কয়েকদিন আগেই এই ঘটনার কথা সামনে আসে। দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে বিহারের চার যুবককে দুদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল কুলটির লছিপুর যৌনপল্লিতে। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। পরে সেই যুবকদের অবশ্য উদ্ধার করে পুলিশ। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসা ভিন রাজ্যের গ্রাহকদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি মারধরেরও অভিযোগ তুলেছেন যৌন কর্মীরা। অভিযোগের তির দালালদের দিকে। যদিও শাসক দলের নেতারা দালাল রাজের জন্য দায়ী করেছেন প্রশাসনের একাংশকে। স্থানীয় প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও।

ঘটনার সূত্রপাত এক ভাইরাল ভিডিয়োকে নিয়ে। দিন পাঁচেক আগে এক যুবকের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলে ৩ হাজার ৬০০ টাকা বলে তাঁকে যৌনকর্মীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিরে আসার সময় দেড় লক্ষ টাকার বেশি বিল চাওয়া হয়। না দিতে পারায় তাঁকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার জন্য দালালরাজ কেই দায়ী করে স্থানীয় দুর্বার সমিতি থেকে শুরু করে যৌনকর্মীর।

যৌনকর্মীদের দাবি, তাঁরা আতঙ্কিত। গ্রাহকরা আসতে চাইছেন না। দালালরা যা খুশি তাই করছেন। শুধু তাই নয় যৌন কর্মীদের প্রাপ্য টাকাও পাওয়া যায় না অনেক সময়। দালালরাই টাকা নিয়ে নেন।

স্থানীয় দুর্বার সমিতির দাবি, গ্রাহকদের ওপর ও অত্যাচার হচ্ছে। যা খুশি বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না দিতে পারলে আটকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে।

যদিও এ বিষয়ের আসানসোলের কুলটির তৃণমূল নেতারা প্রশাসনের একাংশকেই দায়ী করেছেন। যৌনপল্লির বেশ কিছু হোটেল মালিকের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বের মদত রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ওই যৌনপল্লিতে প্রায় কয়েক হাজার যৌনকর্মীর বাস। বিহার ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর গ্রাহক আসে এখানে। কিন্তু দালালরাজের কারণে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায়।