Coal Scam Case: ‘রাস্তায় যারা কয়লা ঠেলে, তাদেরও ধরে নিয়ে আসবেন!’ CBI-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

Coal Scam Case: মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত (বাপি) ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর দাসকে। মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

Coal Scam Case: 'রাস্তায় যারা কয়লা ঠেলে, তাদেরও ধরে নিয়ে আসবেন!' CBI-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি
সিবিআই। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2024 | 8:02 PM

আসানসোল: কয়লা দুর্নীতি তদন্তের ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠন হওয়ার কথা। তর আগেই সিবিআই-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারক। সিবিআই তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন বিচারক। তদন্তের পদ্ধতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আগামী ৩ জুলাই কি আদৌ ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠন হওয়া সম্ভব? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সিবিআই আদালতের বিচারক। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন “আপনারা পারলে ভাল, নাহলে আমি নিজেই চার্জ নিয়ে নেব”।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবিদের প্রশ্ন, কয়লা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে একাধিক পুলিশ অফিসার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের, অথচ তাঁদের নাম চার্জশিটে নেই। বিচারকের ইচ্ছা থাকলেও সিবিআই-এর অবহেলাতেই চার্জফ্রেম গঠন দ্রুত সম্ভব নয় বলেই মত অভিযুক্তদের আইনজীবিদের।

ক্ষুব্ধ বিচারক সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন, ‘শেষ ১০ বছরে একটা কোনও মামলা বলুন যা শেষ হয়ে ট্রায়াল শুরু হয়েছে।’ সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই।

গত মঙ্গলবারই কয়লা-কাণ্ডে আরও তিনজন গ্রেফতার হন। বুধবার ওই তিনজনকে তোলা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত (বাপি) ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর দাসকে। মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

অবৈধ কয়লা কারবারে লালার সিন্ডিকেটে মদত ও সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার তাঁদের তোলা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সিবিআই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করেন।

ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরের নাম এফআইআরে এক নম্বরে রয়েছে। ২০২০ সালে সেই এফআইআর হয়। অথচ এক নম্বরে থাকা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগে গেল কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। সিবিআই-এর দাবি, উনি সরকারি কর্মী তাই ওঁকে গ্রেফতার করার অনুমতি পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন ছিল। তাই সময় লেগে গিয়েছে।

পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন, “তথ্য প্রমাণ ছিল না? শুধু সন্দেহের বশেই ওই আধিকারিকের নাম উঠল এফআইআরে? সমাজে কয়লা চোর অপবাদ নিয়ে তো চলতে হল ওঁকে। সাড়ে তিন বছর লেগে গেল গ্রেফতার করার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে? অথচ যাঁদের এফআইআরে নাম নেই, সেই জিএমদের আপনারা গ্রেফতার করলেন। কেউ কেউ পাঁচ-ছয় মাস জেল খাটল। এ কী ধরনের তদন্ত?”

সিবিআই-এর দাবি, কয়লা দুর্নীতি অনেক বড় তদন্ত। অনেকের নাম রয়েছে। ৪৩ জনের নামে চার্জশিট। তাই এতটা সময় লাগল। বিচারক এ কথা শুনে বলেন, “বড় তদন্ত নাকি আপনারা বড় করে ফেলেছেন? উপর ছেড়ে তো এবার নীচের দিকে আপনারা নামছেন। তাহলে তো রাস্তায় যারা কয়লা ঠেলেন এবার তাঁদেরকেও ধরে নিয়ে আসবেন। এত বড় এজেন্সির তদন্ত এরকমভাবে চলতে পারে?”