Ghatal Master plan: বন্যায় বিধ্বস্ত ঘাটাল, মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নবান্নে বৈঠক
Ghatal Master plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন সাংসদ দেবও। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আগে আরামবাগে প্রশাসনিক সভা থেকে দেবকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের উপর আর ভরসা করতে হবে না। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েকমাস। লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের সাংসদ হয়েছেন দেব।
কলকাতা: প্রতি বছর বন্যায় বিপর্যস্ত হয় ঘাটাল। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। আর এই দুর্ভোগ দূর করতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে অনেকদিন আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর ফের ঘাটাল প্লাবিত হওয়ায় মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে শনিবার নবান্নে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেবও।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন সাংসদ দেবও। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আগে আরামবাগে প্রশাসনিক সভা থেকে দেবকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের উপর আর ভরসা করতে হবে না। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েকমাস। লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের সাংসদ হয়েছেন দেব। এবছর বন্যার পর ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে।
কয়েকদিন আগে বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তিনি জানান, “ডিপিআর তৈরি হয়েছে। দেড় হাজার কোটি টাকা লাগবে। বছর দুয়েকের মধ্যে মাস্টার প্ল্যান করে দেব।” ঘাটালে যান সাংসদ দেবও। দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আশাবাদী তিনি। একইসঙ্গে বলেন, “২০২৬ সালের আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হলে আমি ভোটের প্রচারে বের হব না।”
এই পরিস্থিতিতে এদিন নবান্নে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠক হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই বৈঠক হয়েছে। মুখ্যসচিব ও সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন দেব। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।