Durgapur: DVC-ক্যানেলে মকরস্নান করতে গিয়ে ধুন্ধুমার, এলাকায় চলল তাণ্ডব, বেপরোয়া ভাঙচুর
Durgapur: স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য তপন বাগদির স্ত্রী পদ্মা বাগদি জানান, "ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছে।
দুর্গাপুর: দু’পাড়ার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বুদবুদ থানার সন্ধিপুর এলাকা। তৃণমূল সমর্থক দুই এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর করা হল এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ তৃণমূল কর্মীকেও। এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার মকরস্নান নিয়ে। অভিযোগ, স্থানীয় ডিভিসি ক্যানেলে মকরস্নান করতে গিয়ে বুদবুদ পঞ্চায়েতের সদস্য তপন বাগদির উপর হামলা করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। মঙ্গলবার সকালেও এলাকায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য তপন বাগদির স্ত্রী পদ্মা বাগদি জানান, “ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছে। আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে। ভাঙচুর চালানো হয় ঘরে। আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি।”
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, পাড়াগত কোনও বিবাদ। অভিযুক্তরা সবাই পালিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমণ শর্মা জানান, ” বালি ঘাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।”
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানান. দুই তিন ধরেই পাড়ার মধ্যে বিবাদ চলছিল। এই বিবাদকে অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছে বিরোধীরা।